শিরোনাম
◈ সংকট মোকাবেলায় ভোলার গ্যাস ঘিরে নতুন আশা সরকারের ◈ 'অপারেশন ডেভিল হান্ট': ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার আরও ৬০৭ ◈ প্রতিশোধের চক্র ভেঙে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ বিজিবির কড়া প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বসানো ক্যামেরা খুলে নিচ্ছে বিএসএফ ◈ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলিকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলো আইসিসি ◈ এক থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড, জানা গেল কারণ ◈ আবারও যুক্তরাষ্ট্রে দুই বিমানের সংঘর্ষ ◈ মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নিলে সিএনজি চালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ◈ হাসিনাসহ শীর্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩-৪টি মামলার রায় অক্টোবরে: আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আশা করছে ইউএনডিপি: স্টেফান লিলার

প্রকাশিত : ০১ আগস্ট, ২০২৪, ০১:৩৪ দুপুর
আপডেট : ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হানিয়ার হত্যা ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র : বিশ্লেষণ 

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] যুক্তরাষ্ট্র বাহ্যত বলছে, তার লক্ষ্য হল গাজায় যুদ্ধবিরতি  অর্জন এবং আঞ্চলিক সংঘাত এড়ানো তবে দেশটির মিত্র অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল ওয়াশিংটনের এই লক্ষ্যার্জনকে কঠিন করে তুলেছে। সূত্র : আল-জাজিরা

[৩] অধিকৃত গোলান মালভূমিতে আরব দ্রুজ গ্রামের খেলার মাঠে বিস্ফোরণে ১২ শিশু নিহত হওয়ার পর গত সোমবার হোয়াইট হাউসে বক্তৃতাকালে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, তার দেশ ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানানোর কথা পুণর্ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও আঞ্চলিক যুদ্ধের বিস্তার রোধ করতে চায়।

[৪] জন কিরবি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, কূটনৈতিক সমাধানের সময় ও সুযোগ এখনও ফুরিয়ে যায়নি। অবশ্য ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপরই নির্ভর করছে সেখানে সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে কি-না। দীর্ঘদিন ধরে এমনই একটা যুদ্ধের আশংকা করা হচ্ছে। 

[৫] যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে বলছে, তারা এমন যুদ্ধ হোক, তা চায় না। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ওয়াশিংটন তার সেনাবাহিনীকে পাঠিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যায় সব ধরণের মদদ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন।

[৫] মধ্যপ্রাচ্যে ও বৃহত্তর দুনিয়া এরআগে বেশ কয়েক বার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ছিল গত এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেশকে ইরানের কন্সুলেটে ইসরায়েলি হামলায় দেশটির দুইজন শীর্ষস্থানীয় জেনারেল নিহত হন। এরপরের ঘটনা ছিল এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে ইরানের  হামলা।

[৬] সে সময়ে সংঘাতের বিস্তার ঠেকাতে ও ইসরায়েলকে হামলা করা থেকে বিরত যুক্তরাষ্ট্র কাজ করেছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর ওপরও সর্বাত্মক হামলা চালানো থেকে ইসরায়েলকে বিরত রেখেছিল ওয়াশিংটন। 

[৭] এদিকে গাজায় যুদ্ধবন্ধে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাও ভূমিকা পালন করছে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র তার একটি।

[৮] লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমাণ্ডার ফুয়াদ শুকর এবং তেহরানের হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ইসরায়েল হত্যার ঘটনার যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের বিস্তার রোধের মার্কিন লক্ষ্যকে ভণ্ডুল করে দিয়েছে। সম্পাদনা: রাশিদ

আর/আইএফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়