এম খান: [২] পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর বিচার ‘স্বচ্ছ ও যথাযথ আইনি পদ্ধতি’ মেনে হয়নি।
[৩] আনন্দবাজার জানায়, বুধবার সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ সর্বসম্মত রায়ে এ কথা জানিয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ভুট্টো একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৯৭৯ সালে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল।
[৩] ডন জানায়, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আসিফ আলী জারদারি ২০১১ সালে আদালতে একটি আবেদন করেন। আবেদনে পিপিপির প্রতিষ্ঠাতাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ আদালতের মতামত চাওয়া হয়।
[৫] ১৯৭৭ সালে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউল হক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন ভুট্টোকে। তার কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের সেনা সরকার।
[৬] আনন্দবাজার জানায়, পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় এক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুনের অভিযোগ। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র প্রতিষ্ঠাতা ভুট্টো সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু গোড়া থেকেই তাঁর পরিবার এবং দল ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ তুলেছিল জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে।
[৭] বুধবার সাড়ে চার দশক আগেকার সেই রায়ের পুনর্মূল্যায়ন করে পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কাজি ফয়েজ ইশার নেতৃত্বাধীন ন’জন বিচারপতির বেঞ্চ। টিভিতে সম্প্রচার করা হয় সেই বিচারপর্ব।
[৮] সর্বসম্মত রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি ফয়েজ বলেন, ‘‘স্বচ্ছ এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে সে দিন বিচার হয়নি। এই মামলায় বিস্তারিত রায় আমরা পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করব।’’