বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তৈরি খসড়া নীতিমালা ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য বাস্তবায়ন হলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার দাম বেড়ে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ হবে। ফলে দেশের ইন্টারনেট পরিষেবায় ঝুঁকি তৈরির শঙ্কা রয়েছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেছেন। ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য তৈরি খসড়া নীতিমালা প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী এফটিএসপি অপারেটরদের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ রাজস্ব দিতে হবে। অন্যদিকে, ক্রয়মূল্য বাড়বে ১৪ শতাংশ। বাস্তবে বাজার পরিস্থিতি যাচাই না করে তৈরি নিয়মের কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় বিশৃঙ্খলা তৈরির শঙ্কা রয়েছে। দুই হাজার ৭০০ ছোট প্রতিষ্ঠান এতে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, সরকারের টেলিকম নীতি এখন মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে। তৈরি নিয়ম এখন আর জনস্বার্থের সঙ্গে যুক্তিযুক্ত নয়। এই খাত থেকে সরকার এখন ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ রাজস্ব আয় করছে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় সরকারের রাজস্ব আয় বেড়ে হবে ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ। বিটিআরসির নতুন নিয়মে ৭০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম বেড়ে হতে পারে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। বাড়তি দাম প্রান্তিক গ্রাহকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ফলে শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য বেড়ে যাবে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত এই সেবাব্যয়কে শেষমেশ ব্যয়বহুল করছে। আইএসপিএবির মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া বলেন, খসড়া নীতিমালায় মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস ও লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দিতে সুস্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশি ও নিজস্ব বিনিয়োগে তৈরি আইএসপির জন্য অসম প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি হবে।
সূত্র: সমকাল