শিরোনাম
◈ মালয়েশিয়ায় গেলেন সেনাপ্রধান ◈ সঞ্চয়পত্র ও বেসরকারি বন্ডের জন্য সেকেন্ডারি মার্কেট গঠনের পরামর্শ গভর্নরের ◈ ফিলিস্তিনকে ৪ পশ্চিমা দেশের স্বীকৃতি, স্বাগত জানাল বাংলাদেশ ◈ তারুণ্যের ঐক্যে নতুন শক্তি গড়তে একীভূত হচ্ছে এনসিপি–গণঅধিকার: রাশেদ খান ◈ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া, এশিয়ার কালো টাকার প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠছে লন্ডন: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের নিবন্ধ ◈ কম প্রস্তুতি নি‌য়েও নারী বিশ্বকা‌পে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দ‌লের কোচ সা‌রোয়ার ইমরান ◈ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: বিশ্বকে যে বার্তা দিলো সৌদি আরব ◈ ইসরায়েল-তুরস্ক সংঘাতের সম্ভাবনা: গোপন অভিযান, প্রক্সি যুদ্ধ ও আঞ্চলিক জোটের কৌশল ◈ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, উপ-উপাচার্য হেনস্তার ঘটনায় উত্তেজনা ◈ এনসিপিসহ আরও যে ৬ রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০৩ দুপুর
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাইবার নিরাপত্তার নতুন ঝুঁকি, কারণ—এআই টুলসের ব্যবহার

কিছুদিন আগে টেক রিসার্চ এশিয়ার সঙ্গে দ্য ফিউচার অব সাইবার সিকিউরিটি ইন এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড জাপান শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের এটি পঞ্চম সংস্করণ। জানা গেছে, এশিয়া প্যাসিফিক ও জাপান (এপিজে) অঞ্চলজুড়ে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ অনেকাংশে বেড়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। 

২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ। সাইবার হুমকি, অপ্রতুল রিসোর্স ও জটিল প্রক্রিয়াই প্রধানত কর্মীর ওপর কাজের চাপ বা বার্নআউটের প্রধান কারণ হিসেবে সামনে এসেছে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) কীভাবে সাইবার নিরাপত্তার ওপর দ্বিমুখী প্রভাব ফেলছে, তা প্রতিবেদনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। একদিকে এআই প্রযুক্তির টুলস সাইবার নিরাপত্তা খাতের কাজ সহজ করেছে। অন্যদিকে, এআইর ব্যবহারের ফলে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেকাংশে জটিল হয়ে পড়েছে।

সফোসের এপিজে অঞ্চলের ফিল্ড চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসার অ্যারন বুগাল বলেন, সাইবার হামলা বৃদ্ধি, নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা ও সীমিত রিসোর্স– তিনটি কারণে সাইবার নিরাপত্তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না।

চলতি বছর দেখা গেছে, সাইবার নিরাপত্তাজনিত চাপ ও বার্নআউটের মাত্রা অপারেশনাল কাজের চেয়েও বেশি। পরিকল্পনা অনুযায়ী এআই টুলস ব্যবহার করতে পারলে অপারেশন খাতের কর্মক্ষমতা ও সাইবার সুরক্ষায় দ্রুত কাজ করবে। কিন্তু শ্যাডো এআই, অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আর নিয়ন্ত্রণের বাইরের কোনো এআই টুলস ব্যবহার করায় নতুন ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ফিশিং ইমেইলের মতো অন্যসব সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে বাড়তি সচেতন হতে হবে। কীভাবে এআই টুলসের মাধ্যমে সংবেদনশীল ডেটা ব্যবহার ও শেয়ার হচ্ছে, তা ঠিকঠাক বুঝতে হবে। তা ছাড়া এআই ব্যবহারের নিয়ম ও তার মাত্রা জানা জরুরি।

জরিপের তথ্য

শ্যাডো এআইর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। জরিপে দৃশ্যমান হয়, ৪৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীন এআই টুলস ব্যবহার করছে। তবে ৭২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের এআই ব্যবহারের নীতি রয়েছে। অন্যদিকে, ১২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানে না যে তাদের প্রতিষ্ঠানের ভেতরে শ্যাডো এআই প্রযুক্তির অ্যাপ্লিকেশন উপস্থিতি আদতে আছে কিনা।

সাইবার নিরাপত্তায় কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বাড়তি কাজের চাপ ও ক্লান্তির কারণে প্রতিষ্ঠানের কর্মী প্রতি সপ্তাহে গড়ে চার ঘণ্টার বেশি কাজ করেছেন।

২০২৪ সালের তুলনায় যা ১২ শতাংশ বেশি। সাইবার নীতিমালার প্রভাবে প্রায় ৮৩ শতাংশ জরিপ করা প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুসরণ করছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে ৫৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ধারণা, এসব নিরাপত্তা বৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার নিরাপত্তাজনিত চাপ শুধু প্রযুক্তিগত সমস্যা নয়, ব্যবসার দিক থেকেও এটি বড় ধরনের সমস্যা। কাজের চাপের কারণে কর্মীর কর্মক্ষমতা, সাইবার হামলা মোকাবিলা ও কর্মী স্থায়িত্বকে অনেকাংশে প্রভাবিত করছে। সূত্র: সমকাল 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়