শিরোনাম
◈ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন জামায়াত আমির ◈ জুলাই সনদের দাবি: দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ শাহবাগ, যানজটে ভোগান্তি (ভিডিও) ◈ ঐকমত্য কমিশনের ৮২৬ সুপারিশের মধ্যে ৭৭৫টিতে একমত বিএনপি, জানালেন সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ ২০ শতাংশ শুল্ক সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল ◈ ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে উদ্বেগ, যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ◈ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে  সিরিজ শুরু পাকিস্তানের ◈ পটুয়াখালীর বাউফলে পরকীয়া সন্দেহে শিক্ষক স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা ◈ আটকে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের সুখবর দিলো মালয়েশিয়া, বোয়েসেলের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের নতুন সিদ্ধান্ত ◈ বাঙালিদের যদি অত্যাচার ও অবহেলা করা হয়, তাহলে এটি যথেষ্ট আপত্তিকর: অমর্ত্য সেন (ভিডিও) ◈ গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা অপু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২৫, ০৬:৩৬ বিকাল
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

বেতন বছরে ৩০ কোটির বেশি, দুনিয়ায় সবচেয়ে সুখের চাকরি, তবুও কেউ করতে রাজি নয়

এল আর বাদল : বিপুল বেতনের চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন কে না দেখে? কর্মঘণ্টা প্রায় নগণ্য এবং মাথায় উপর কোনও কর্তৃপক্ষের নজরদারিও নেই! এমন চাকরির আনন্দ যেন স্বর্গ-সুখ। কিন্তু এ ধরণের চাকরির জন্য সঠিক এবং যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই দায়।

কোথায় মিলছে এ ধরণের চাকরি? চাকরিটি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরের ফারোস নামক দ্বীপে অবস্থিত আলেকজান্দ্রিয়া লাইটহাউসের একজন রক্ষকের। এই কাজের জন্য বার্ষিক বেতন প্যাকেজঅর্থাৎ সিটিসি প্রায় ৩০ কোটি টাকা! -- ই‌ন্ডিয়াহুড

এই লাইটহাউসের রক্ষকের একটাই কাজ, তাঁকে এই আলোর দিকে নজর রাখতে হবে যাতে এটি কখনও নিভে না যায়। তারপর সে ২৪ ঘন্টা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। অর্থাৎ যখন ইচ্ছা ঘুমাতে পারো, যখন ইচ্ছা ঘুম থেকে উঠে আনন্দ করতে পারো, মাছ ধরতে পারো, সমুদ্রের দৃশ্য দেখতে পারো। শুধু একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে, লাইটহাউস বা বাতিঘরের আলো যেন নিভে না যায়।

এই লাইটহাউসের আলো চিরকাল জ্বালিয়ে রাখার কাজ নিঃসন্দেহে যথেষ্ট ঝক্কির। কিন্তু রক্ষীর বেতনও প্রচুর। তাও এই আরামদায়ক কাজ করার সাহস মানুষ জোগাড় করতে পারছে না।

কেন? আসলে এই কাজের মূল চ্যালেঞ্জ হল, সমুদ্রের বিশাল ঢেউ এত উঁচুতে উঠে যায় যে লাইটহাউসটি প্রায়ই জলে ঢুবে যায়। এতে বাতিঘরের রক্ষকের মৃত্যুর ঝুঁকি প্রচণ্ড।

-- লাইটহাউসের কাহিনী --

কেন এই বাতিঘরটি তৈরি করা হয়েছিল এবং এর আলো জ্বালিয়ে রাখা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? একবার বিখ্যাত নাবিক ক্যাপ্টেন মেরেসিয়াস এই পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এই এলাকায় বিশাল পাথর ছিল, যা তিনি ঝড়ের মধ্যে রাতের অন্ধকারে দেখতে পাননি। এর ফলে তাঁর নৌকা ডুবে যায়। অনেক ক্রু সদস্য নিহত হন, বিপুল ক্ষতি হয়। ক্যাপ্টেন মেরি অনেক দূরে যাওয়ার পর পাড় খুঁজে পান এবং মিশরে পৌঁছন। পাথরের কারণে এখানে জাহাজগুলি প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হত। ফলে আলোর প্রয়োজন পড়ে।

তারপর এখানকার তৎকালীন শাসক স্থপতিকে ডেকে সমুদ্রের মাঝখানে একটি টাওয়ার তৈরি করতে বলেন। যেখান থেকে আলোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। সেই আলো জাহাজগুলিকে পথ দেখিয়ে বড় বড় পাথর থেকেও রক্ষা করত। যখন এই বাতিঘরটি তৈরি হয়েছিল, তখন কেউ-ই জানতেন না যে এই বাতিঘরটি প্রযুক্তির জগতে এক বড় আবিষ্কার হয়ে উঠছে। এই বাতিঘরের নামকরণ করা হয়েছিল 'দ্য ফ্যারোস অফ আলেকজান্দ্রিয়া'। এই বাতিঘরে কাঠের সাহায্যে একটি বড় আগুন জ্বালানো হত এবং লেন্সের সাহায্যে এটিকে আরও বড় করা হত যাতে এর আলো অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।  

 এই লাইটহাউসের কারণে, নাবিকরা এখানকার সমুদ্র দিয়ে জাহাজ চালাতে স্বস্তি বোধ করতেন। মিশরের 'দ্য ফ্যারোস অফ আলেকজান্দ্রিয়া' লাইটহাউসই হল বিশ্বের প্রথম বাতিঘর। এর পরে, সারা বিশ্বে বাতিঘর তৈরি করা হয়েছিল। আগে কেবল সমুদ্রের তীরে বাতিঘর তৈরি করা হত, কিন্তু পরে পাথরযুক্ত জায়গায়ও বাতিঘর তৈরি করা শুরু হয়। এর বেশ পর থেকে, বিদ্যুতের লাইটহাউস তৈরি হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়