স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপ বয়কটের হুমকি দিলেও তা থেকে শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে পিছু হঠতে হয়েছে পাকিস্তানকে। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হাসির খোরাক হতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। এবার তাদের বিড়ম্বনা আরও বাড়ছে। শোনা যাচ্ছে কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আইসিসি সিইও সংযোগ গুপ্তা একাধিক অভিযোগ তুলে কড়া ইমেল করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। পাকিস্তান যে আমিরাত ম্যাচে একাধিক বার ‘প্লেয়িং কন্ডিশন’–এর আইন ভেঙেছে, তার উল্লেখ করা হয়েছে ওই ইমেলে। তিনটে বিষয় লেখা হয়েছে সেই ইমেলে। -- আজকাল
এক, সংযুক্ত আরব আমিরাত বনাম পাকিস্তান ম্যাচকে বিলম্বিত করা। দুই, ম্যাচ রেফারির ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়া এবং সরকারি বিবৃতিতে মিথ্যাচার করা। তিন, প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিশিয়াল এরিনায় (পিএমওএ) অন্যায্য ভাবে প্রবেশ ঘটানো।
ভারত–পাক যুদ্ধের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে অপসারণের দাবি তুলে পাকিস্তান কী নাটক করছিল, এতদিনে সবার জানা হয়ে গিয়েছে। পাইক্রফ্টকে না সরানো হলে তারা আমরাত ম্যাচ খেলবে না। এরকম হুমকিও দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরে চাপে পড়ে ম্যাচ খেলতে বাধ্য হয় তারা। আমিরাত ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে।
জানা গিয়েছিল, আমিরাত ম্যাচের দিন দফায় দফায় বৈঠকের পর ঠিক হয় যে, পাইক্রফ্টের সঙ্গে পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন, অধিনায়ক সলমন আলি আগা এবং আইসিসি–র জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান বসে মিটমাট করে নেবেন মাঠে পৌঁছে।
কিন্তু সেই দলে পাকিস্তানের মিডিয়া ম্যানেজার নইম গিলানিও ঢুকে পড়েন। শোনা যাচ্ছে, তিনি বৈঠক চলাকালীন পাইক্রফ্টের ঘরে ঢুকতে যান। কারণ, তাঁকে পাক বোর্ড থেকে বলা হয়েছিল কথাবার্তা যা হচ্ছে, পুরোটা ফিল্ম করতে।
কিন্তু এটা নিয়ম বিরুদ্ধ। আইন অনুযায়ী, ম্যাচ রেফারির ঘরে কোনও টিম ম্যানেজার ঢুকতে পারেন না। কথাবার্তা ফিল্ম করা দূরের কথা। কারণ সেটা ‘পিএমওএ’ এরিয়া।
তাঁকে আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা একাধিক বার জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু গিলানি তা শোনেননি। উল্টে পাক বোর্ড থেকে ফের শাসানো হয় যে, যদি গিলানিকে ঘরে ঢুকে সমস্ত কিছু রেকর্ড করতে না দেওয়া হয়, তারা খেলা বয়কট করবে।
এটাও বলা হচ্ছে, সেই বৈঠক শেষে পাক বোর্ড থেকে যে বিবৃতি পেশ করে বলা হয়েছে পাইক্রফ্ট ‘ক্ষমা’ চেয়েছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাননি। তিনি বলেছিলেন, টসের সময় যদি কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তা হলে সেটা পিছনে ফেলে সামনের দিকে তাকাতে।
এরপরই পাক বোর্ডকে বৃহস্পতিবার আইসিসি কড়া ইমেল করেছে। যেখানে আইন ভাঙার একাধিক উদাহরণ পেশ করা হয়েছে।
কেউ কেউ আবার বলছেন, পাক বোর্ড নাকি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে একটা ইমেল ড্রাফট করে রেখেছিল। যেখানে লেখা ছিল, সূর্যকুমার যাদব পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করেছেন। কিন্তু সেই ইমেলের আগেই আইসিসি–র ইমেল চলে গেল পাক বোর্ডের কাছে। যা পরিস্থিতি, তাতে শাস্তি হতেই পারে পিসিবির।