স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের সুপার ফোরে খেলবে সেটার নিশ্চয়তা ছিল না। অনিশ্চিত এক ভবিষ্যত নিয়েই আবুধাবি ছেড়ে দুবাইয়ে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যাওয়ার আগে নাসুম আহমেদ গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট কোনো দলকে সমর্থন না দিয়ে ভাগ্যের দিকে তাকিয়ে থাকবেন তারা। -- ক্রিকফ্রেঞ্জি
নাসুম মুখে না বললেও বাংলাদেশের সবার চাওয়া ছিল শ্রীলঙ্কার জয়। লঙ্কানরা জিতলেই কোনো সমীকরণে যেতে হতো না বাংলাদেশকে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মোহাম্মদ নবির ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তান ১৬৯ রানের পুঁজি পেলে খানিকটা চাপে ছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরাও। যদিও কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিসরা বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙতে দেননি।
আফগানদের স্পিন ভয়কে জয় করে ১৬৯ রান তাড়া করেছে ৬ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে। ১০১ রান স্পর্শ করতেই সুপারে ফোর নিশ্চিত হয়েছে লঙ্কানদের। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে বাংলাদেশকেও সঙ্গে নিয়ে গেছেন তারা। সুপার ফোরে জায়গা করে নেয়ায় আরও তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন লিটন-তাসকিন আহমেদরা।
এশিয়া কাপের চলতি আসরের সুপার ফোর শুরু হবে বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে। ২০ সেপ্টেম্বর দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টাইগারদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ পর্বে তাদের কাছেই হারতে হয়েছে লিটনদের। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ২৪ সেপ্টেম্বর ‘এ’ চ্যাম্পিয়নদের সাথে।
২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তাই ভারত। পরদিনই বাংলাদেশকে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামতে হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর টাইগারদের প্রতিপক্ষ ‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপ পাকিস্তান। সবশেষ জুলাইয়ে ঘরের মাঠে সালমান আলী আঘার পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।