স্পোর্টস ডেস্ক : ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো দেখা করতে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেখানেই আচমকা ঘটে গেল এক মজাদার ঘটনা যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে হাস্যরসের এক মুহূর্তে চমকে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেন।
কাপ হাতে নিয়ে ট্রাম্প আচমকাই মজার ছলে বলে বসেন, ‘আমি এটা আর ফেরত দেব না’। তাঁর কথায় হেসে ওঠে গোটা ওভাল অফিস। ঘটনার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ট্রাম্প সমর্থকেরা রসিকতায় মুগ্ধ হন। -- আজকাল
এদিনই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের জন এফ. কেনেডি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের লটারি অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠান দিয়েই শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত শতাধিক ফুটবল ম্যাচের বছরব্যাপী সূচি। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা সত্যিই এক বিরাট সম্মান।
বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের এবং এক বিশ্বব্যাপী ইভেন্টকে আমাদের রাজধানীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নিয়ে আসা’। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন সহ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এবং কেনেডি সেন্টারের প্রধান দূত রিচার্ড গ্রেনেল।
ইনফান্তিনো জানান, ‘আমরা বিশ্বকে একত্রিত করছি, এখানে আমেরিকায়। ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র সারা বিশ্বে অন্তত এক বিলিয়ন মানুষ দেখবে’। ট্রাম্প বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে রসিকতা করে বলেন, ‘আমি কি এটা রাখতে পারি? দারুণ এক জিনিস।
তিনি আরও বলেন, মজা করে কেনেডি সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রাম্প/কেনেডি সেন্টার’ রাখা যেতে পারে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে কেনেডি সেন্টারে চলছে ২৫৭ মিলিয়ন ডলারের পুনর্গঠন কাজ, যা আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ২৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন এবং বিশ্বকাপের আয়োজনকে কেন্দ্র করে সম্পন্ন হবে।
২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ হবে প্রথমবারের মতো ৪৮টি দেশ ও ১০৪টি ম্যাচের মেগা ইভেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে আয়োজন করবে প্রতিযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে বেশিরভাগ ম্যাচ, কানাডা ও মেক্সিকো প্রত্যেকে আয়োজন করবে ১৩টি করে ম্যাচ। ট্রাম্প দাবি করেন, এই বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় আনবে। প্রায় ১.৮৫ লক্ষ মানুষ চাকরি পাবেন।
অপরদিকে নোয়েম আশ্বাস দেন, বিদেশি সমর্থকদের জন্য ভিসা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা হবে কঠোর ও নির্ভুল। ফিফা ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুতি শুরু করেছে, নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ার ও মায়ামিতে রয়েছে তাদের অফিস।