স্পোর্টস ডেস্ক :ক্রিকেটে আবার বদলের ভাবনা সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি-র। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে আইসিসি-র চার দিনের বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানেই টি২০ বিশ্বকাপ ও টেস্ট বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনায় বসবেন জয় শাহেরা। আরও কয়েকটা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা বৈঠকে।
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে দুটো বিশ্বকাপকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখন খেলে ন’টা দেশ। কিন্তু প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে খেলে না। সকল দেশের ক্রিকেটের মানও সমান নয়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় থেকে আয়েরও তফাত রয়েছে। তাই অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাব দিয়েছে, দু’ধাপে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হতে পারে। -- আনন্দবাজার
সেনা (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউ জ়িল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) দেশ ও ভারতকে নিয়ে একটা ধাপ। এই পাঁচ দেশের মধ্যেই হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল। দ্বিতীয় ধাপে থাকবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, জ়িম্বাবোয়ে, আফগানিস্তানের মতো দল। তারা নিজেদের মধ্যে খেলবে। প্রত্যেক দু’বছর অন্তর ফাইনাল হবে। নীচের ধাপ থেকে উপরের ধাপে উন্নয়ন ও পাল্টা অবনমনও থাকবে।
জয় শাহ আইসিসি-র চেয়ারম্যান হওয়ার পর তাঁর কাঁধে বড় দায়িত্ব। পাশাপাশি আইসিসি সংযোগ গুপ্তকে নতুন সিইও নিযুক্ত করেছে। তিনিও থাকবেন বৈঠকে। দু’ধাপে টেস্ট বিশ্বকাপ হলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশে একে অপরের বিরুদ্ধে আরও বেশি সিরিজ় খেলতে পারবে। এতে আয়ও বেশি হবে। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা ২০২৭ সালের পর থেকে কার্যকর হবে।
২০২৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে ২০টা দল। ইতিমধ্যেই ইটালির মতো দল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ইটালির এই কৃতিত্বের পর আইসিসি-র মনে হয়েছে, উইরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তা আরও বাড়াতে চায় তারা। এক দিনের বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে তা আছে। ফলে পরের বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২৪ দলের করার ভাবনা করছে আইসিসি।
আইসিসি-র সহযোগী সদস্যের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। ২০১৯ সালে নিলম্বিত করা হয়েছিল জাম্বিয়াকে। এ বার তারা আবার আইসিসি-র সহযোগী সদস্য হবে। ইস্ট টিমোরকেও প্রথম বারের জন্য সহযোগী সদস্যের তকমা দিতে পারে আইসিসি। সেই সব বিষয়েও আলোচনা হওয়ার কথা চার দিনের বৈঠকে।