স্পোর্টস ডেস্ক : ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করেছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মোহসিন নাকভি। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে সভায় ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
কয়েকদিন আগে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন আশঙ্কার খবর প্রকাশিত হয়। যদিও বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনাম এই খবর অস্বীকার করেছেন।
বিসিবির আরেক সূত্র জানিয়েছে, ভারত সশরীরে না এলেও অনলাইনে সভায় অংশ নিতে সম্মত হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
এদিকে, ভারত ছাড়া এসিসিভুক্ত অন্য সব দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই বার্ষিক সাধারণ সভায় সরাসরি উপস্থিত থাকবেন।
শনিবার (১২ জুলাই) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু। তিনি জানান, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত সভার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বিসিবি এবং তারা আশা করছেন, সভায় সব সদস্য দেশই উপস্থিত থাকবে। তবে এসিসির সভায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রতিনিধি পাঠাবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত। বিষয়টি তাদের বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
যদিও বিসিবি জানিয়েছে, সশরীরে না এলেও ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে। এ প্রসঙ্গে বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু বলেন,‘ভারতের অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আমরা আশা করছি, তারা উপস্থিত থাকবে। যদি প্রতিনিধি না পাঠায়, তাহলে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সভায় এশিয়ান ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সূচি অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরেই ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এশিয়া কাপ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিকল্প হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ৫ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি প্রাথমিক সূচিও তৈরি করা হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
এর আগে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কারণে এশিয়া কাপে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এসিসি সভায় অংশ নেওয়া নিয়ে ভারতের আপত্তির খবরে সেই দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হলো। এরই মধ্যে বিসিসিআই বাংলাদেশের বিপক্ষে নির্ধারিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ১৩ মাস পিছিয়ে দিয়েছে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব এশিয়ান ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।