স্পোর্টস ডেস্ক : হোটেলে প্রথম দেখা। সেখান থেকেই শুরু প্রেম। বাবার সবুজ সঙ্কেত পেয়ে তবেই বিয়ে। তারকা ক্রিকেটারের প্রেমকাহিনি একেবারেই অন্যরকম।
তাঁর বলের রহস্য ভেদ করতে সমস্যায় পড়তেন ব্যাটসম্যানরা। বলে বলে ইয়র্কার দিতেন। আর ওই ইয়র্কার ব্যাটসম্যানের কাছে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হতো। তিনি ইয়র্কার কিং লাসিথ মালিঙ্গা। -- আজকাল
মালিঙ্গার স্ত্রীর নাম তানিয়া পেরেরা। দ্বীপরাষ্ট্রের তারকা বোলার ও তানিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ এক হোটেলে। বিজ্ঞাপনের একটি শুটিংয়ের জন্য হোটেলে এসেছিলেন মালিঙ্গা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তানিয়াও। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেই হোটেলে।
তাঁদের মধ্যে কথাবার্তার শুরু সেখানেই। এক সাক্ষাৎকারে মালিঙ্গার স্ত্রী বলেছিলেন, ''ক্রিকেটের প্রতি আমার কোনও আকর্ষণ নেই। মালিঙ্গা ও আমার প্রথম সাক্ষাৎ হোটেলে। ইভেন্ট ম্যানেজার হিসেবে আমি সেখানেই ছিলাম। প্রথম সাক্ষাতের পরই আমাকে পছন্দ করতে শুরু করে মালিঙ্গা।''
দ্বিতীয়বার পের দু'জনের সাক্ষাৎ হয়েছিল গলে। এই শহরেরই বাসিন্দা দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন পেসার। এবার তাঁরা একে অপরের ফোন নম্বর আদানপ্রদান করেন। শুরু হয় কথা বলা। তানিয়া বলেছিলেন, সফর চলাকালীন মালিঙ্গা দীর্ঘসময় তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন। সেই সময়েই দু'জনে একে অপরকে ভালবাসার কথা জানান।
এক বছর কথাবার্তা চলার পরে মালিঙ্গা বিয়ের প্রস্তাব দেন তানিয়াকে। কিন্তু তানিয়া বলেন, বাবাকে জিজ্ঞাসা না করে তিনি হ্যাঁ বলতে পারবেন না। এর পরে তানিয়ার বাবার সঙ্গে দেখা করেন মালিঙ্গা স্বয়ং। তানিয়াই সেই বন্দোবস্ত করে দেন। আলাপচারিতার সময়ে তানিয়ার বাবা জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর মেয়েকে কীভাবে ভাল রাখবেন মালিঙ্গা। জাতীয় দলের ক্রিকেটারের উত্তর শুনে খুশি হন তানিয়ার বাবা। ২০১০ সালের ২২ জানুয়ারি বিয়ে হয় তানিয়া ও মালিঙ্গার।