স্পোর্টস ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এ সংস্থার সভাপতি হওয়ার পরেই চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করতে উঠে পড়েন ফারুক। শেষ পর্যন্ত হাথুরুসিংহকে সরিয়ে ফিল সিমন্সকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। যা নিয়ে হয়েছে অনেক আলোচনা-সমালোচনা। -- ডেইলি ক্রিকেট
আতঙ্ক তৈরী করে তাকে সরানো হয়েছিল বলে ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন হাথুরুসিংহে। সেই ফারুকও বিসিবিতে টিকতে পারলেন না। সম্প্রতি বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ফারুক।
তার পরিবর্তে বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ফারুকের বিদায়ের পর আবারও আলোচনায় হাথুরুসিংহকে বরখাস্ত করার সেই ইস্যু। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং হাথুরুসিংহে।
লিংকডইনে পোস্ট করে হাথুরুসিংহে লিখেছেন, ‘আমি সাধারণত আমার কাজকেই আমার পক্ষে কথা বলতে দেই। তবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আবারও আলোচনায় এসেছি। ইএসপিএন ক্রিকইনফো'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির অপসারণের একটি কারণ ছিল আমাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি। বোর্ডের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। মাঠে এবং মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’
হাথুরুসিংহকে বরখাস্ত হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে নাসুম আহমেদকে তিনি নাকি চড় মেরেছিলেন। যা সবসময় অস্বীকার করে এসেছেন শ্রীলঙ্কান এ কোচ। শুধু হাথুরু নয়, বাংলাদেশ দলের সেসময়ের ব্যাটিং কোচ নিক পোথাসও বলেছিলেন নাসুমের সাথে হাথুরুর তেমন কিছুই হয়নি।