লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৪৪ রানে থেমেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। হেরেছে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে। তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে থাকতে হাতছাড়া করেছে ফিল সিমন্সের দল।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে বোলিং করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচেও ২০১ রান তোলে স্বাগতিকরা। হারায় ৬ উইকেট। এদিনও শুরুতে পাকিস্তানের ওপেনার সাঈম আইয়ূবকে তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০৩ রান যোগ করে বড় রানের পথ তৈরি করেন শাহিবজাদা ও হারিস।
তিনে নামা উইকেটরক্ষক ব্যাটার হারিস ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। চারটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা মারেন তিনি। ফখর জামানের জায়গায় একাদশে ঢুকে শাহিবজাদা দুই জীবন পেয়ে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে ছয়টি ছক্কার সঙ্গে চারটি চারের শট আসে। গত ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা হাসান নওয়াজ এদিন ফিফটি তুলে নেন। তার ব্যাট থেকে ২৬ বলে ৫১ রানের হার না মানা ইনিংস আসে। দুটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা তোলেন তিনি। লোয়ারে নেমে অধিনায়ক সালমান আঘা ১২ বলে ১৯ রান যোগ করেন। ১০ বলে ৭ রান করেন শাদাব খান।
জবাব দিতে নেমে ওপেনার তানজিদ তামিম ভালো শুরু করেন। তিনি ৪.৩ ওভারে দলের ৪৬ রানে আউট হন। এর মধ্যে ১৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন। পাঁচটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন। তিনি আউট হতেই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ৫৬ রানে ৫ উইকেট হয়ে যায় বাংলাদেশ। একে একে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (৬), তাওহীদ হৃদয় (৫) ও জাকের আলী (০)।
এর মধ্যে অধিনায়ক লিটনের সঙ্গে হৃদয়ের সিঙ্গেল রান নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ক্ষোভ ঝেড়ে পরের বলে বাজে শট খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। যেন হৃদয় সিঙ্গেল না নেওয়ার কারণেই আউট হয়েছেন টি-২০ কাপ্তান। ওই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। ৭৭ রানে হারায় ৭ উইকেট। শামীম পাটোয়ারি (৭) ও রিশাদ হোসেন (১) ব্যর্থ হন।
হারের ব্যবধান কিছুটা সম্মানজনক করেছেন মেহেদী মিরাজ ও তানজিম সাকিব। এর মধ্যে শেখ মাহেদীর জায়গায় খেলা মিরাজ ১৭ বলে ২৩ রান করেন। তানজিম ৩১ বলে ৫০ রান করে আউট হন। তিনি পাঁচটি ছক্কা ও একটি চার মারেন। ইনজুরির কারণে শরিফুল ৩ বল করেই মাঠ ছাড়ায় ব্যাটিং করতে পারেননি। এক ওভার থাকতেই তাই অলআউট খেলা হয় বাংলাদেশের নামের পাশে।
বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। তিনি ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন শাদাব, খুশদীল, সাঈম, হাসান আলী, ফাহিম আশরাফ ও হরিস রউফ। বাংলাদেশের শামীম ৩.৩ ওভারে ২৮ রান দেন। মিরাজ ৪ ওভারে ৩৮ রান খান। তানজিম ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২টি ও হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৪৭ রান হজম করে নেন ২ উইকেট। রিশাদের ৪ ওভারে ৫০ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। তিনি ১ উইকেট নেন।