স্পোর্টস ডেস্ক : আর্শদীপ সিংয়ের দারুণ এক ডেলিভারিতে নেহাল ওয়াদেরাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন পাঁচ বলে রানের খাতা খুলতে না পারা মিচেল মার্শ। একই ওভারে আউট হলেন এইডেন মার্করামও। একে একে বিদায় নিলেন নিকোলাস পুরান, ঋষভ পান্ত, ডেভিড মিলাররা। ২৩৬ রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নামা লক্ষ্ণৌ মাত্র ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলায় জয়ের স্বপ্নটা তখন প্রায় শেষ। দলের হার যখন প্রায় নিশ্চিত তখন লক্ষ্ণৌকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আয়ুশ বাদোনি ও আব্দুল সামাদ।
দুজনে মিলে যোগ করলেন ৮১ রান। হাফ সেঞ্চুরির আগে সামাদ ফিরেছেন ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে। আরেক ব্যাটার বাদোনি ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হয়েছেন ৪০ বলে ৭৪ রান করে। তাদের দুজনের এমন ব্যাটিংয়ের পরও পাঞ্জাবকে হারাতে পারেনি লক্ষ্ণৌ।
আর্শদীপের সঙ্গে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দারুণ বোলিংয়ে পাঞ্জাব জয় পেয়েছে ৩৭ রানে। এ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছেন শ্রেয়াস আইয়াররা। -- ক্রিকফ্রেঞ্জি
ধর্মশালায় জয়ের জন্য ২৩৬ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি লক্ষ্ণৌর। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। আর্শদীপের পায়ের উপর করা লেংথ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে ওয়াদেরার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মার্শ। একই ওভারে মার্করামকেও ফিরিয়েছেন আর্শদীপ। বাঁহাতি পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাকফুট পাঞ্চ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ১০ বলে ১৩ রান করে। তিনে নামা পুরানও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
পাওয়ার প্লে শেষের আগে মিডল অ্যান্ড লেগ স্টাম্পের ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটার। ২৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন পান্ত ও বাদোনি। যদিও সেটা খুব বেশি কাজে দেয়নি। ব্যাট হাতে ছন্দ খুঁজতে থাকা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক ১৮ রানে আউট হয়েছেন ওমরজাইয়ের বলে শশাঙ্ক সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সাউথ আফ্রিকান মিলারও আউট হয়েছেন দ্রুতই।
দ্রতই পাঁচ উইকেট হারানোর পর লক্ষ্ণৌকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন বাদোনি ও সামাদ। তাদের দুজনের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন মার্কো জানসেন। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে তারই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৫ রানে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে বাদোনি খেলেছেন সমান ৫ ছক্কা ও চারে ৭৪ রানে খেলা বাদোনি। শেষ পর্যন্ত ১৯৯ রানে থামে লক্ষ্ণৌ। পাঞ্জাবের হয়ে আর্শদীপ তিনটি এবং ওমরজাই নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারে প্রিয়ানশ আরিয়াকে হারায় পাঞ্জাব। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা জশ ইংলিশ ফিরেছেন ৩০ রান করে। পরবর্তীতে পাঞ্জাবকে পথ দেখিয়েছেন শ্রেয়াস ও প্রভসিমরান। হাফ সেঞ্চুরির আগে পাঞ্জাব অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৪৫ রানে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা প্রভসিমরান খেলেছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রানের ইনিংস। শেষের দিকে শশাঙ্ক ৩৩ ও মার্কাস স্টইনিস ১৫ রান করেছেন। তাদের ব্যাটেই ২৩৬ রানের পুঁজি পায় পাঞ্জাব।