মোঃ জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার সদর থানার বিশেষ অভিযানে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে (১৪ সেপ্টেম্বর) সদর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ওই নেতার নাম তৌফিক হোসেন রাজন।
পুলিশ জানায়, তৌফিক হোসেন রাজন নিজেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে সংগঠনটি সরকারের ঘোষণায় নিষিদ্ধ হওয়ার পরও তিনি বিভিন্ন স্থানে দলীয় পরিচয়ে সক্রিয় ছিলেন।
রাজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হামলার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মামলার মূল আসামি হয়েও আত্মগোপনে ছিলেন। এসময় গ্রেপ্তার এড়াতে সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করতেন তিনি। তার সঙ্গে সাংবাদিকতার কোনো প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে সদর থানার বিশেষ টিম রাজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
রাজনের গ্রেপ্তারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন অসংগঠিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। একইসঙ্গে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাগুলোর অন্যতম এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন রাজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রাজনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলার তদন্তে নতুন অগ্রগতি ঘটবে এবং অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।