জামায়াতের রাজনীতি বিশেষ করে নারী অধিকার প্রশ্নে দলটির অবস্থান সম্পর্কে জানা-বুঝার চেষ্টা করছে বৃটেন। ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং তার মিশনের রাজনৈতিক উইংয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে সোমবার মহিলা জামায়াতের এক বৈঠকে ওই জানা-বুঝার চেষ্টা হয়। দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র বারিধারাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারী ইউনিটের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৃটিশ হাইকমিশন বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত না জানালেও তারা এ সংক্রান্ত একটি গ্রুপছবি শেয়ার করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘ইউকে ইন বাংলাদেশ’-এর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সচিত্র বার্তায় বলা হয়- বৃটিশ দূত সারাহ কুকের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারী শাখার নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ হয়েছে। জামায়াতের রাজনীতি বিশেষত নারী সম্প্রদায়ের মধ্যে দলটির কার্যক্রম এবং নারী নীতি বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
বৃটিশ হাইকমিশন এবং জামায়াতের একাধিক সূত্র জানিয়েছে- বৃটিশ দূতের আমন্ত্রণে তার বাসভবনে যান দলটির ৯ সদস্যের প্রতিনিধি, যার নেতৃত্ব দেন জামায়াতের মহিলা ইউনিটের সেক্রেটারি মিজ নুরুন্নেছা সিদ্দিকী। ওই টিমের অন্যরা হলেন- দলটির সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিজ সাইয়্যিদা রুম্মান, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিজ মারজিয়া বেগম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. প্রফেসর হাবিবা আক্তার চৌধুরী সুইট, এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নি, মিজ খন্দকার আয়েশা খাতুন, প্রফেসর সালমা সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজ তাহমিনা ইয়াসমিন ও মিজ নিশাত তাসনীম।
সূত্রমতে, ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল জামায়াতে নারীদের অংশগ্রহণ বিষয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। দলটির কর্মসূচিতে নারী সম্প্রদায়ের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায় না। এ কারণে আদৌ নারীরা জামায়াতের রাজনীতি করেন কিনা তা নিয়ে কৌতূহল সর্বত্র। সম্ভবত এই প্রথম কোনো বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে জামায়াতের নারী নেতৃত্বের ঘটা করে এমন সাক্ষাৎ হলো। উৎস: মানবজমিন।