শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার দায়ে : প্রেস সচিব  ◈ বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন ◈ আমরা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও অভিন্ন সমৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি: প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ড. ইউনূসের কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই: প্রেস সচিব ◈ ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাহারি ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ যাত্রী ও পথচারীরা ◈ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ডিএমপির বার্তা ◈ আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল ইস্যুতে বৈঠক শেষে যা বলছে ইসি (ভিডিও) ◈ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার বিপর্যয়, অর্ধকোটি মানুষের মাথায় হাত! ◈ প্রবাসী আয়ে সর্বকালের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ! ◈ জুলাই-আগস্টের সকল হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২৫, ০৩:৩১ রাত
আপডেট : ১২ মে, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আ.লীগের হাতেই স্বাধীনতার পর দল নিষিদ্ধ শুরু হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনও প্রণয়ন করেছিল

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের হাতেই প্রথম রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার কার্যক্রম শুরু হয়। এখন ওই দলই নিষিদ্ধের শিকার হলো। অন্তর্বর্তী সরকার শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তবে এবারই প্রথম দল নিষিদ্ধ না করে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলো। আজ সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির কথা রয়েছে। এর ফলে নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধনও হুমকির মুখে পড়েছে।

রাজনীতিক ও আইনজ্ঞরা জানান, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মতো তিনটি আইন বিদ্যমান রয়েছে। এর দুটিই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন পাস করেছে। আইন দুটি হচ্ছে—বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯। এই সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য রোববার এই আইনে সংশোধনীও এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই আইনে বেশ কয়েকটি দল ও সংগঠন এখনো নিষিদ্ধ রয়েছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মতো আরেকটি আইন হচ্ছে—পলিটিক্যাল প্র্যাকটিস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮।

স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগের তিনটি অংশ, পিডিপিসহ স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এবং সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের নামে এসব দল নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি (পিবিএসপি) ও পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (পিবিসিপি) নিষিদ্ধ করা হয়। দুটি বামপন্থি মাওবাদী সংগঠন এখনো নিষিদ্ধ।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন চালু করেন শেখ মুজিব। গঠন করেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল)। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাকশালের কার্যক্রমসহ সব রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ করা হয় সামরিক আইনে। রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মো. সায়েম ১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। ওই সময়ে বাকশাল থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করেন জোহরা তাজউদ্দীনসহ সিনিয়র নেতারা। তবে নেতৃত্বের বিরোধে আওয়ামী লীগ (মালেক) এবং আওয়ামী লীগ (মিজান) দুই ধারায় বিভক্ত হয়। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আসার পর আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ভেঙে আবার বাকশাল গঠিত হয়।

এর আগে ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় নিষিদ্ধ সব দল রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পায়। তবে সে বছরই ভোটের রাজনীতিতে ফিরতে পারেনি। জামায়াত নেতারা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামের একটি দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেন। ২০১৮ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। আইনি জটিলতায় ওই দল এখনো নিবন্ধন ফিরে পায়নি। নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত নিজ দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না দলের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের আমলে সর্বশেষ নিষিদ্ধ হয় জামায়াতে ইসলামি ও বাংলাদেশ ছাত্রশিবির। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে। ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আগস্টেই এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

এ ছাড়া ২০০৫ সালে দেশজুড়ে বোমা হামলার পর জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশকে (জেএমবি) সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়। একই আইনে একই বছরে নিষিদ্ধ করা হয় হরকাতুল জিহাদকে। ২০০৯ সালে হিজবুত তাহরির নিষিদ্ধ হয়। সবশেষ গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়। উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়