শিরোনাম
◈ জুলাই ঘোষণাপত্র না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ◈ নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ ◈ সাভারে মেয়ের হাতে বাবা খুনের আসল ঘটনা নিয়ে যা জানা গেলো ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আনন্দ উল্লাস! (ভিডিও) ◈ পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে জামায়াতের কাছে লিজ দিন: ডা. তাহের ◈ জনগণ পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো যুবকের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ, আসলে কী হয়েছিলো? যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ তামিম ইকবালকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে এতদিন পরে রাস্তায় কেন?

প্রকাশিত : ১১ মে, ২০২৫, ১২:৫১ রাত
আপডেট : ১১ মে, ২০২৫, ০৩:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জনগণ পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান (ভিডিও)

দেশের জনগণ পলাতক-পরাজিত অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের জনগণ দুটি বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত– এক, বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আর কেউ যেন তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে। দুই, গণতন্ত্রবিরোধী পলাতক শক্তি যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এই দুই বিষয়ে জনগণ আর কোনো আপস মানতে রাজি নয়। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি এটি উপলব্ধি করি। বিএনপিসহ দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল জনগণের এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।’

তারেক রহমান বলেন, ‘যারা বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, অবৈধ সংসদ বা সরকার গঠন করেছে এবং যারা সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনগণ ও সরকার কোনোভাবেই গুম, খুন ও অপহরণ, দুর্নীতি, টাকা প্রচার, আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতাদের পলাতক-পরাজিত অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুরু থেকে জনগণের অভিপ্রায় এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে অবস্থান অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়ে এসেছে, জানিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষেত্রে আইনগত ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ জনসম্মুখে এবং সরকারের কাছে সুস্পষ্ট মতামত তুলে ধরেছে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের দুষ্কর্মগুলো প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে প্রচার ও আলোচনায় রাখা দরকার। গত ১৫ বছর যা হয়েছে এবং জুলাইয়ে যা হয়েছে তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আলোচনা রাখা দরকার। এগুলো আলোচনা রাখতে পারলে একদিকে যেমন কার্যকর গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম করবে। তেমনি ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ ও বিরোধ উসকে দিতে সক্ষম হবে না।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ শাসনামলে বিভিন্ন সময় দেশে জঙ্গি নাটক কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ফ্যাসিবাদী শাসনের লুটপাট থেকে জনগণের দৃষ্টিতে অন্যদিকে রাখতে চেয়েছিল। তাদের অপশাসনকে টিকিয়ে রাখতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের গুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিল। সেই সময় গুম, খুনের ভয়ে এসব বিষয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায়নি। পলাতক স্বৈরশাসক কি কারণে বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে ঘিরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করত তা বর্তমানে গণতন্ত্রের জন্য একটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিষয় হতে পারে বলে আমি মনে করি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা সুযোগ পেলে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের দেশের বিভিন্ন জায়গার ঘটে যাওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি এবং উপাসনালয়ে হামলার নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সর্বধর্মীয় একটি নাগরিক তদন্ত কমিশন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। ’কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিত করার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে বিএনপি দেশে এমন একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। তবে কেউ যেন আপনার-আমার আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার কুক্ষিত করে রাখার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য জনগণের দায়বদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রত্যেকটি মানুষ, এই ঘরে যে মানুষগুলো আমরা উপস্থিত আছি, এই ঘরের বাইরে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আমরা যে যেখানেই আছি না কেন, যে যার অবস্থান থেকে সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। আপনাদের সকলের কাছে আমি আজ সেই আহ্বান জানাই।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে এখানে একটি কথা রয়ে গেছে। সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণের সামনে যাতে স্বচ্ছ ধারণা থাকে এই কারণে বিএনপি প্রথম থেকে এ সরকারের কাছে তাদের একটি কর্মপরিকল্পনা-পথনকশা ঘোষণার আহ্বান বারবার জানিয়ে এসেছে, জানিয়ে আসছে।’

ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। ত্রিপিটক পাঠ করেন এম ইন্দ্র বংশ ভিক্ষু, ভদন্ত সুধর্ম ভিক্ষু, ভদন্ত সমৈত্রী রতন ভিক্ষু ও আনন্দ প্রিয় শ্রমন।

বিএনপির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সুভাষ চন্দ্রা চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক প্রমুখ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়