শিরোনাম
◈ পুলিশ সদস্যকে প্রেমের জেরে হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৬ ◈ পাক সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি ভারতকে, ‘আক্রান্ত হলে কঠিন জবাব’ ◈ বিকৃত যৌ'না'চারের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি, দুই নারী গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১০০০ মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা ◈ ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ আগামীকাল ◈ ‘নারীর দিকে তাকানোর ঘটনা নিয়ে’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০ ◈ এআই দক্ষতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ, সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছে না ◈ পুঁজিবাজারে এক মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা ‘হাওয়া’, বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ ◈ আবেগঘন মুহূর্ত: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের শিশুপুত্রের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২৩ দুপুর
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে ২ কারণে হাসিনার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল

জনতার চোখ : ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালানোর আগে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছিল। অন্তত দু’টি বিষয় নিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুজনের মধ্যে।  

জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ ও শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে বঙ্গভবন আর গণভবনের মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছিল। রীতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেলে দেশে ফেরার পর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা যায় চীন ও ভারত সফরের পর। সম্পর্কের অবনতি এমনটাই ঘটেছিল যে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনের দিকে পা-ই বাড়াননি। 

এই যখন অবস্থা, তখনই বিচারক নিয়োগের প্রশ্নটি সামনে আসে। গণভবন বা আইন মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা দেখে প্রেসিডেন্ট বিরক্ত হন। ১৮ এপ্রিল ২০২৪ প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে সামগ্রিকতা নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে। নিয়োগের পদ্ধতি স্পষ্ট না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে প্রথাগতভাবে নিয়োগ হয়ে আসছে। বিষয়টি লিখিত না থাকলেও আলোচনাক্রমে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করার নিয়ম চালু আছে। প্রেসিডেন্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এই নিয়ম ভঙ্গ করে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বঙ্গভবনে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। সারসংক্ষেপ বহনকারী ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিতে থাকেন। 

এতে বিরক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পাল্টা একটি চিঠি পাঠান সই না করেই। এতে তিনি বলেন, যেভাবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘আমি কিছুই জানি না, অথচ আমাকেই চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে হবে। প্রচলিত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্টকেই পুতুল বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম কেন? দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া উপেক্ষা করার কী অর্থ আছে’। 

আইনমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করারও প্রয়োজন মনে করেননি। সবমিলিয়ে প্রেসিডেন্ট ব্যথিত হন-এটাও উল্লেখ ছিল চিঠিতে। এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর দপ্তরে। 

ওদিকে প্রচলিত শ্রম আইন নিয়েও ভিন্নমত দেখা দেয়। আলোচনা না করে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়।  এতে প্রেসিডেন্ট মনঃক্ষুণ্ন হন। এতে করেই বঙ্গভবন ও গণভবনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। সম্ভবত এসব কারণেই হাসিনা ৫ আগস্ট ক্ষমতা ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনেও কোনো যোগাযোগ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়