শিরোনাম
◈ হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প জেলেনস্কির বৈঠক শুরু ◈ মিয়ানমারে তীব্র সংঘর্ষ: নাফ নদীর পাড়ে কয়েকশ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা ◈ গাজা সংকটে আলোচনার নতুন সূচনা: হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত ◈ জুলাইয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের এক টাকাও খরচ করতে পারেনি ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ◈ শেখ হাসিনার মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ ◈ চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে: ইসি সচিব ◈ সিলেটে পাথরকাণ্ড: ডিসির পর এবার ইউএনওকে বদলি ◈ যে তিন শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটি দিতে রাজি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ◈ ৫৫ বছরের রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফা বিমানের ◈ ভারত কি বাণিজ্য যুদ্ধ সামাল দিতে পারবে?

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:১৪ রাত
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ, প্রজ্ঞাপন জারি

১৮ বছর আগে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার (১৮ আগস্ট) এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর আগে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন। সোমবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির দেওয়া এ রায়ের ১৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন।

২০২২ সালে আবেদনকারীদের আপিল খারিজ করে দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা পৃথক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দেন। আজ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। চার দলীয় জোট সরকারের সময়ের এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া এই ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।

এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। এই আপিল মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের চাকরিতে ফেরত আটকে যায়। পরে ২০২৩ সালে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য তারা আবেদন করেন। সেই আবেদনের ওপর ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীদের আবেদন মঞ্জুর করে এবং ২০২২ সালে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল করে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়