শিরোনাম
◈ ঐকমত্য কমিশনের প্রথম ধাপ শেষ: বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য দলের অবস্থান ভিন্নমুখী ◈ আমি একটা কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছি: আমিনুল ইসলাম বুলবুল (ভিডিও) ◈ বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় চাপে বাংলাদেশের পোশাক খাত: নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন ◈ দেশের সমস্যা বিদেশে গিয়ে বলে লাভ নেই: আমীর খসরু (ভিডিও) ◈ দুর্বল ব্যাটিং, বাজে পরিকল্পনা—সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ  ◈ বাংলাদেশিদের জন্য যেসব দেশে ভিসা সীমিত হয়েছে ◈ ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তা হ্রাসের প্রভাব: জাতিসংঘে চাকরি হারাচ্ছেন হাজারো কর্মী ◈ একীভূতকরণে শুধু দুর্বল ইসলামী ব্যাংক, এনবিএল নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক ◈  ছাত্রদলের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ছাত্রীদের রুম ছাড়ার হুমকি ◈ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য যুবদল নেতা নয়নের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৫, ০১:১১ রাত
আপডেট : ২৯ মে, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জুলাই আহতদের বিক্ষোভে চক্ষু হাসপাতাল অচল: রোগীদের ভোগান্তি, সেনা হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ আহতদের একাংশের হামলার ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুর থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়। ৫ ঘণ্টার বেশি সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া সব বিভাগে চিকিৎসা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

নিরাপত্তাহীনতায় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বড় একটি অংশ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের কাউকে কাউকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আহতদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হলেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে লাঠিপেটাও করে। সন্ধ্যার দিকে আহতদের একটি অংশ হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেয়। তারা বাইরে সড়ক অবরোধ করে রাখে।

হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার আন্দোলনে চোখ হারানো চার ব্যক্তি—শিমুল, সাগর, মারুফ ও আবু তাহের পরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে চিকিৎসায় অবহেলা ও বিদেশে চিকিৎসা না করানোর অভিযোগ তোলেন তাঁরা। হঠাৎ পকেট থেকে বিষের শিশি নিয়ে পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে তাঁদের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এর জেরে গতকাল সকাল থেকেই হাসপাতালজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কর্মীরা অভিযোগ করেন, আগের দিন আন্দোলনকারীরা পরিচালকের গায়ে হাত তোলেন, অফিসকক্ষ ভাঙচুর করেন এবং কর্মীদের হুমকি দেন।

এসব ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা সকাল থেকেই কর্মবিরতিতে যান। কর্মবিরতির মধ্যেই গতকাল আবারও সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে মারামারিও হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন, যাঁদের মধ্যে সাধারণ রোগীও রয়েছেন।

নুরে আলম বাবু নামের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘পরিচালকের গায়ে হাত তোলা হয়েছে, অফিস রুম ভাঙচুর করা হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় আমরা সবাই কর্মবিরতিতে গিয়েছি।’

বিষপানকারী আবু তাহের অভিযোগ করেন, ‘পরিচালকের সঙ্গে বরাদ্দের টাকা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তিনি কথা না শুনেই উঠে চলে যান। চিকিৎসা তো হচ্ছেই না, বরং একটি সিন্ডিকেট টাকা আত্মসাৎ করছে।’

জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার চিকিৎসক-নার্সদের জিম্মি করা হয়েছিল। আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে করণীয় ঠিক হবে।’ উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়