পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম আজ বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ইশতিয়াক হোসাইন নামে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে গেছেন। তাঁকে ধরতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অভিযান চালাচ্ছে। কম সময়ের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বোতল নিক্ষেপকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ইশতিয়াক আগে পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজে পড়তেন। আজ সকাল থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত ইশতিয়াকের সহপাঠী–বন্ধুরা জানিয়েছেন।
কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গতকাল বুধবার রাত ১০টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি কথা বলার একপর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল উড়ে এসে তাঁর মাথায় পড়ে। এরপর আর কথা না বলে সেখান থেকে চলে যান মাহফুজ আলম।
প্রায় ১৫ মিনিট পরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে নিজের সন্দেহ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা খুঁজে বের করুন। দেখবেন, একটি গ্রুপকেই পাওয়া যাবে। তাঁদের নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির প্রতি যে হিংসা আট মাস ধরে রয়েছে এবং তাঁদের যে হিংস্রতা অনলাইনে দেখা যায়, তাঁরা আজকে এখানে এটা করেছেন।’