ভারতের গণমাধ্যম প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা অনেক দিন ধরে দেখছি, তারা যা তা নিউজ করে—মিনিমাম কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই।
আজ শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, 'আমরা দেখছি তারা বাংলাদেশকে নিয়ে কী ভয়াবহ রকমের প্রোপাগান্ডা চালায়, এটা ভারতের নতুন কিছু না। আমরা অনেক দিন ধরে দেখছি, তারা যা তা নিউজ করে—মিনিমাম কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই। সেই তুলনায় যদি বলেন বাংলাদেশের যে চ্যানেলগুলো বন্ধ করা হয়েছে, খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাদের খুবই সুনাম আছে। যমুনা টিভি বা যেসব টিভি বন্ধ করা হয়েছে, এরা তো খুবই সম্মানিত গণমাধ্যম বাংলাদেশের।'
'ওই পারের নিউজটা হয়ে গেছে এন্টারটেইনমেন্ট। কে কত জোরে কথা বলতে পারে, কে কত নাটক করতে পারে। ইন্ডিয়ান মিডিয়ায় মানুষকে ইনফর্ম করার কোনো দায়িত্ব নেই। সেখানে এক ধরনের নাটক তৈরি করা এবং নাটক তৈরি করে মানুষের আকর্ষণ নেওয়া। রেসপনসিবল জার্নালিজম সেখানকার রেসপেকটেড মিডিয়াও করে কি না এখন আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে,' বলেন তিনি।
শফিকুল আলম আরও বলেন, 'আমরা যখন ইউরোপে গেছি, সেখানকার অনেক রেসপেকটেড মিডিয়া আমাদের বলেছে, ইন্ডিয়ান মিডিয়া এটা নতুন করছে না! অনেক পুরোনো অভ্যাস তাদের। আমরা এত কাল দেখিনি, কারণ এত কাল এরা আসলে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক ছিল। এখন পতিত স্বৈরাচার যেহেতু চলে গেছে, এদের মাথায় এক ধরনের বাজ পড়ার মতো অবস্থা।'
প্রতিদিন একগাদা মিথ্যা কথা বলছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এবং পুরোটাই হচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা (ভারতীয় নিউজ চ্যানেল) বন্ধ করলে ওদের আরও বৈধতা দেওয়া হয় যে, ওরা খুব ভালো ছিল, আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের কোনো মানুষই আসলে ওদের নিউজ দেখছে না। আমরা জানি ওরা কী পরিমাণ মিথ্যা নিউজ দেয়। ওরা যে কাজটা করেছে, আমরা সেটা করতে চাই না।'
তিনি বলেন, 'আমাদের মিডিয়াতে নাটক করার অভ্যাস দেখি না। কেউ কেউ আছে, আমরা পতিত স্বৈরাচার সরকারের সময় দেখেছি কী ভয়াবহ রকমের মিথ্যা নিউজ হয়েছে—মানুষকে জঙ্গি সাজানো হয়েছে, অপজিশনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সময় অনেক মিডিয়া আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা টুল ছিল। এখন আমরা চাই, জার্নালিজমটা রেসপনসিবল জার্নালিজম হোক।' উৎস: ডেইলি স্টার ও চ্যানেল২৪