শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০১:০২ রাত
আপডেট : ৩১ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ বা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়নি

তুলসী গ্যাবার্ড

মনিরুল ইসলাম: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন ও হত্যা এবং ধর্মীয় চরমপন্থার উত্থান নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও মর্মাহত অন্তর্বর্তী সরকার। 

সোমবার  রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের করা মন্তব্য লক্ষ্য করেছি। 

তিনি অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা এবং দেশে ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে, যার শিকড় একটি ইসলামি খিলাফতের শাসন ও পরিচালনার আদর্শ ও উদ্দেশ্যের মধ্যে নিহিত। তার এই বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও ক্ষতিকর, যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামকে আঘাত করে। বাংলাদেশ বরাবরই অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ ইসলাম পালনের ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ বা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়নি। তারা একটি সম্পূর্ণ জাতিকে বিস্তৃত এবং অযৌক্তিকভাবে চিত্রিত করে। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার এবং অন্যান্য সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে।

বাংলাদেশকে ইসলামী খিলাফতের ধারণার সঙ্গে ভিত্তিহীনভাবে যুক্ত করা দেশটির অসংখ্য নাগরিক ও বিশ্বব্যাপী তাদের বন্ধু ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমকে খাটো করে। যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে যে কোনো ধরনের ইসলামি খিলাফত ধারণার সঙ্গে দেশকে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক নেতা ও জনপরিচিত ব্যক্তিত্বদের এ সংবেদনশীল বিষয়গুলো সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার আগে প্রকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কথা বলা উচিত। তাদের এমন কোনো মন্তব্য করা উচিত নয় যা ক্ষতিকর ধারণাকে শক্তিশালী করে, ভয় উসকে দেয় বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়ায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়