শরীরে অতিরিক্ত ওজনের কারণে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। তাই আজকাল সচেতন মানুষেরা বাড়তি ওজন নিয়ে সতর্ক হয়েছেন। সে জন্য মেদ ঝরাতে কেউ জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান, কেউ বা কড়া ডায়েটের বিধিনিষেধ মানেন। কারো আবার পছন্দ শর্টকাট পন্থা।
কিন্তু যেটাই ফলো করুক না কেন, দ্রুত ওজন কমানো মোটেই সহজ কথা নয়। উপরন্তু শরীরের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে। তবে ‘ওয়েট লস’ ডায়েটে একটি পানীয় রাখলে দারুণ উপকার পেতে পারেন। আর সেটি হলো ডাবের পানি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা দুই সপ্তাহ প্রতিদিন ডাবের পানি পান করলে শরীরে নানা উপকার পাওয়া যায়।
ডাবের পানি শরীরের জন্য এক প্রাকৃতিক ‘ডিটক্স ড্রিঙ্ক’। এতে ক্যালরি খুব কম, কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডাবের পানিতে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ইলেকট্রোলাইটস, যা শরীরের বাড়তি পানি ও সোডিয়াম বের করে দেয়।
ফলে শরীরে জমে থাকা পানি ও গ্যাস কমে, পেট ফেঁপে থাকা বা ব্লটিংয়ের সমস্যা দূর হয়। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে, হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে এবং ক্লান্তি কমায়।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডাবের পানিতে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম ও খনিজ হজমশক্তি উন্নত করে। এটি শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়, ফলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং চর্বি জমে না। তা ছাড়া এটি শরীরের টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, যা ত্বক ও পেট দুটিই ভালো রাখে।
কখন ও কিভাবে পান করবেন
•সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস ডাবের পানি পান করা সবচেয়ে উপকারী।
•বিকেলে ব্যায়াম বা হাঁটার পরেও এটি পান করা যেতে পারে।
•দিনে এক থেকে দুই গ্লাস ডাবের পানি যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে যেতে পারে।
•ডায়াবেটিস বা কিডনিতে সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ডাবের পানি খাওয়া উচিত।
•সব সময় টাটকা কাঁচা ডাবের পানি বেছে নিন। বোতলের বা চিনি মেশানো ডাবের পানিতে আসল উপকার পাওয়া যায় না।
দুই সপ্তাহ ডাবের পানি খেলে কী পরিবর্তন দেখবেন
আপনি যদি নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে ডাবের পানি খান তাহলে পেটের ফোলাভাব অনেকটাই কমে যাবে, বাড়বে হজমশক্তি, শরীর থাকবে হাইড্রেটেড, মুখে ও ত্বকে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
তবে মনে রাখবেন, ডাবের পানি ওজন কমানোর জন্য কোনো জাদু নয়। এটি শরীরের ভারসাম্য ও হজম ঠিক রাখে, যা পেটকে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে পেট কমাতে ডাবের পানি হতে পারে আপনার গোপন অস্ত্র!
সূত্র : আজকাল