এল আর বাদল : বিশ্ব যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, তাতে কর্ণপাত করেনি দু’ দেশ। ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার নিয়েছে গত কয়েকদিনে। ইজরায়েল ইরানের অস্ত্র স্থাপনাগুলির আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বলেছে। এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লক্ষ্যবস্তুগুলির একটি দীর্ঘ তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। -- নিউজ১৮
এই পরস্থিতিতে আরও এক বড় তথ্য সামনে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ইরানের শীর্ষ জেনারেল দাবি করেন, কথা হয়েছে ইরান এবং পাকিস্তানের। পাক সরকার নাকি জানিয়েছে, ইজরায়েল যদি পরমাণু হামলা চালায় তেহরানে, তাহলে পাকিস্তান বদলা নিতে পাশে থাকবে ইরানের। ইরানের হয়ে পরমাণু হামলা চালাবে ইজরায়েলে। তুর্কি টুডে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর সিনিয়র জেনারেল এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য মোহসেন রেজাইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য জানায়।
ইরানের শীর্ষ নেতার এই মন্তব্যের পর তীব্র জল্পনা শুরু হয়। প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি এবার শুরু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? একে অপরের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অন্যান্য দেশও লিপ্ত হবে যুদ্ধে? যদিও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই বিবৃতি অস্বীকার করে দাবি করেছেন যে ইসলামাবাদ এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
তবে একই সঙ্গে উল্লেখ্য, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ বাঁধার পর, পাকিস্তান ইরানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ১৪ জুন জাতীয় পরিষদে বলেন, ‘ইসলামিক দেশগুলিকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত, অন্যথায় তাদের ইরান ও প্যালেস্তাইনের মতো একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
আসিফ ইজরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী মুসলিম দেশগুলিকে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানা যায়।