শিরোনাম
◈ আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে : নাহিদ ইসলাম ◈ জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব: সন্দেহ হলেই বাতিল ভিসার আবেদন ◈ অবশেষে গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী ট্রাক ◈ বাংলা‌দেশ ইমা‌র্জিং দল ও নিউ‌জিল‌্যা‌ন্ডের চার দিনের ম্যাচ ড্র ◈ সালাউদ্দিন আহমেদের কাছে সারজিসের ৩ আহ্বান ◈ ‘ড. ইউনূসকে ঘিরে একটি চক্র’, ভেতরে চার-বাইরে তিন : সংকট ঘনীভূত ◈ ড. ইউনূসের পদত্যাগ তার ব্যক্তিগত বিষয়, বিএনপি পদত্যাগ চায় না: সালাহউদ্দিন আহমদ (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে গুঁড়িয়ে দেব: লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি নিয়ে হুঁশিয়ারি ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তার ◈ জাতীয় দলে নয়, আ‌মি  ফ্র্যাড়ঞ্চাইজি লিগে খে‌লে যা‌বো: সা‌কিব ◈ নেইমারের ফেরার দিনে তার দল সা‌ন্তো‌সের বিদায়

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল
আপডেট : ২৩ মে, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে ২১০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করলো বাংলাদেশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি কোম্পানির সঙ্গে ২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের এক চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি মুদ্রামান অনুযায়ী চুক্তিটির মূল্য প্রায় ২৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার সমান ১২২ টাকা ধরে)।    

শুক্রবার (২৩ মে) ভারতের প্রথম সারির একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এই চুক্তি বাতিলের তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, চুক্তির আওতায় কলকাতাভিত্তিক ওই প্রতিরক্ষা কোম্পানির কাছ থেকে নৌবাহিনীর জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের (প্রায় ১৮০ কোটি রুপি) টাগ বোট কেনার কথা ছিল বাংলাদেশের।

কিন্তু, গত শনিবার ভারত তাদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নৌবাহিনীর টাগ বোট কেনার ক্রয়াদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত এলো বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্সকে স্থলবেষ্টিত অঞ্চল হিসেবে আখ্যা এবং এই অঞ্চলে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক হিসেবে বাংলাদেশকে অভিহিত করেছিলেন। একইসঙ্গে চীনকে এই অঞ্চল ব্যবহার করে ব্যবসা সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেওয়ায় ভারত সরকার তাদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, বাংলাদেশ সরকার কলকাতার গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (জিআরএসই) সঙ্গে ১৮০ কোটি রুপির চুক্তি বাতিল করেছে। এই কোম্পানিটি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত হয়।

এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি জাহাজ তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে। ভারতীয় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজের কাজও তারা করে। কোম্পানিটি দেশের পুঁজিবাজারকে বলেছে, আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বাংলাদেশ সরকার তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে।

সংবাদমাধ্যম হিন্দু বিজনেস লাইন বলেছে, বাংলাদেশ সরকার ও এই কোম্পানির পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে ক্রয়াদেশ বাতিল করা হয়েছে। কলকাতাভিত্তিক কোম্পানি জিআরএসই বাংলাদেশের কাছ থেকে ৮০০ টন ওজনের টাগ বোটটি তৈরির আদেশ পেয়েছিল।

গত বছরের জুলাইয়ে ভারতীয় ওই কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে টাগ বোট কেনার চুক্তিটি হয়েছিল। ২০২৩ সালে ঢাকা ও নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা চুক্তি হয়। সেই চুক্তির আওতায় এই টাগ বোটটি ছিল প্রথম বড় কোনও ক্রয়াদেশ।

ভারতীয় এই ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্য আরও অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। যেগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়। ইটিভি ভারতের তথ্য অনুযায়ী, গত আট বছরে বাংলাদেশকে লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৮ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ভারত। উৎস: আরটিভি অনলাইন।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়