নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট দল আগের দিনই ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিলো। লিডসহ তখন মাত্র ৭০ রান। চতুর্থ দিন সকালেও ছিল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। সব মিলিয়ে ম্যাচ হারের শঙ্কা দেখা গিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয়েছে শাহাদাত হোসেন দিপুর দল।
দিনের শুরুতে ২১.১ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের রান ছিল স্রেফ ৪১। দিপু মাত্র ২ রান করে ফিরে যান। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার আইচ মোল্লা আউট হন ১১ রান করে। আরিফুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। কেউই যেন দাঁড়াতেই পারছিলেন না।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক দিপুকে বোল্ড করেন প্রোটিয়া বাঁহাতি পেসার আন্দিলে অস্টিন সিমলানে। আর আইচ ও আরিফুলকে সাজঘরে ফেরান স্পিনার সেপো ইনোসেন্ট এনটুলি। এরপর দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মইন খান ও প্রীতম কুমার।
ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজনে মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। পানিপানের বিরতিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৫। এরপর বৃষ্টির বাঁধায় ম্যাচ থেমে গেলে আম্পায়াররা ড্র ঘোষণা করেন। প্রীতম ২১ ও মইন ১৮ রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে ৩০৮ রান তোলে অল আউট হয় স্বাগতিকরা। জয়াব্বে খেলতে নেমে রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিতে ২৪৩ রানেই অল আউট হয় প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের এই স্পিনার একাই নেন ৭ উইকেট। তার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরষ্কার।