এল আর বাদল : বাবার মুক্তি চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুই পুত্র। পাকিস্তানের জেল থেকে ইমরানকে ‘উদ্ধার’ করতে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন করেছেন ২৭ বছরের সুলেমান খান এবং ২৬ বছরের কাসিম খান। বস্তুত, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা ইমরানের দুই পুত্র এই প্রথম বার বাবার মুক্তির জন্য সরব হলেন।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সাল থেকে জেলবন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান। এখন তিনি রয়েছেন, -- আনন্দবাজার
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে। আপাতত দেড়শোর বেশি অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধানের বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে বলে দাবি করে থাকেন অনুগামীরা। ইমরানের আইনজীবীরা বার বার অভিযোগ করেছেন, জেলে খুবই অবহেলার মধ্যে রাখা হয়েছে তাঁকে। এই প্রেক্ষিতে প্রথম বার বাবার মুক্তির জন্য প্রকাশ্যে আবেদন জানালেন দুই পুত্র।
সুলেমান এবং কাসিম ব্রিটিশ নাগরিক। মা জেমাইমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে লন্ডনে থাকেন তাঁরা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কাসিম বলেছেন, ‘‘আমরা চাই আন্তর্জাতিক মহল পদক্ষেপ করুক (ইমরানের মুক্তির জন্য)। আর এই বিষয়ে ট্রাম্পের চেয়ে আর কে-ই বা উল্লেখযোগ্য হতে পারেন।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, বাবার মুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরা।
পাশাপাশি, পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফেরানোর আবেদন করেছেন ইমরান-পুত্র। ট্রাম্প সরকারের উদ্দেশে সুলেমান এবং কাসিমের আর্জি, ‘‘বাক্স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের জন্য সমর্থন চাই। আমাদের বাবার মুক্তির জন্য সকলকে সরব হতে আবেদন করছি। উনি মৃত্যুকূপে রয়েছেন। না সেখানে আলো পৌঁছোয়, না পৌঁছোন আইনজীবী, না চিকিৎসক।’’
সুলেমানের মন্তব্য, ‘‘ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি এই বার্তার মাধ্যমে আমরা বাক্স্বাধীনতা এবং সঠিক গণতন্ত্র সমর্থনকারী যে কোনও সরকারকে বাবার (ইমরান) মুক্তির জন্য জোর দেওয়ার আবেদন জানাব। বিশেষত, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতার কাছে।
ইমরানকে জেলখানায় ‘অত্যাচার’ করা হচ্ছে, দাবি করে সুলেমান ও কাসেমের মা শাহবাজ় শরিফ সরকারকে অভিযুক্ত করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরানকে আইনজীবীদের সাহায্য নিতে দেওয়া হয় না। পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। এমনকি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে অন্ধকারাচ্ছন্ন কুঠুরিতে। সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। মায়ের মতো একই অভিযোগ কাসেমের। তিনি জানান, তাঁদের পরিবার চায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর জন্য বর্তমান পাক সরকারকে চাপ দিক আন্তর্জাতিক মহল। যুবকের কথায়, ‘‘ওঁরা ওঁকে (ইমরান) ন্যূনতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। শুধু আমার বাবা বলে বলছি না, অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দির মানবাধিকারের স্বার্থে পাকিস্তানে প্রকৃত গণতন্ত্র চাইছি আমরা।