শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১২:১১ দুপুর
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারত কেন তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে, প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশ্ন তুলেছেন, বিশাল জনসংখ্যার দেশ হওয়ার পরও ভারত কেন তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে। গতকাল শনিবার ‘প্রধানমন্ত্রী মিত্র’ প্রকল্পের অধীনে একটি টেক্সটাইল পার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য অনুষ্ঠিত এক বিনিয়োগ বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আদিত্যনাথ বলেন, ‘যদি ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সাফল্য অর্জন করতে পারে, তবে ১৪০ কোটি মানুষের ভারত কেন একই সাফল্য পেতে পারবে না?’

এ সময় তিনি ভারতের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত টেক্সটাইল ব্র্যান্ড তৈরির বিশাল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে প্রচুর সম্ভাবনা আছে। বিশ্ববাজারের চাহিদা বুঝে আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারি।’ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ প্রদান করা দরকার।

আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘এখানে একটি বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে, যারা কাজের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু তাদের সঠিক পথ দেখানোর জন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে।’ যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি দেশের অন্যতম প্রধান ভোক্তা বাজার। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজার উত্তর প্রদেশেই রয়েছে এবং সেটি এখানেই তৈরি হচ্ছে।’

এই মুখ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেন, শুধু উত্তর প্রদেশের জনগণই নয়, বরং প্রতিবেশী দেশ ও রাজ্যের মানুষও এই রাজ্যের বাজারের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে আছে—নেপাল, ভুটান, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডের মতো অঞ্চল। তিনি প্রধানমন্ত্রী মিত্র প্রকল্পে সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেখানে সেলাই, রং করা, প্রিন্টিং, প্যাকেজিং এবং ডিজাইনের মতো কার্যক্রম থাকবে, যা বাজারের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে এই খাতে কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সার্বিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে রপ্তানি হয়েছে ১৯ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। বিশেষ করে স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও ডেনমার্কে রপ্তানি। তবে, জার্মানি ও ইতালিতে রপ্তানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইইউ ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে, যেখানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অবস্থান করছে। অনুবাদ: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়