শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৪২ বিকাল
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : আর রিয়াজ

৩ বছরে ভারতে ১০০ বাঘ হত্যা

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস: ভারতে বাঘশিকারীরা মাফিয়া প্রযুক্তি, ডিজিটাল পেমেন্ট, হাওলা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। তারা ভারত ছাড়াও মিয়ানমারের রুট ব্যবহার করছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাঘ শিকারী ও পাচারকারীদের অনেককে গ্রেপ্তারের পর তারা যে সমগ্র ভারত জুড়ে এ বিশাল গ্যাং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এধরনের অপরাধ করছে এবং পরিবহনকারীদের ব্যবহার করছে তা জানা গেছে। গত তিন বছরে এদের হাতে অন্তত ১শ বাঘ হত্যার শিকার হয়েছে। সুন্দরবন ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বলে দুটি দেশেই বাঘ যাওয়া আসা করে থাকে। 

ভারতের পাঁচটি রাজ্যে, চারটি কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং ইন্টারপোলের তদন্তকারীরা বাঘ হত্যা ও পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা এপর্যন্ত বাঘ নিধনের বিরুদ্ধে তিনটি জাতীয় সতর্কতা জারি করেছে। প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেনদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জানানো হয়েছে এই বছরই পাঁচটি রাজ্যে এক ডজনেরও বেশি বাঘ শিকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং ভারতে বাঘের মানচিত্র জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি সিন্ডিকেট তৎপর বলে জানা গেছে। 

বাঘ চোরাশিকারের সাথে জড়িত সাধারণ সন্দেহভাজনরা জীবিকা নির্বাহকারী শিকারী, চুক্তি ঠিক করার জন্য বন বসতিতে তারা দালাল এবং ছোট শহরগুলিতে দরিদ্র “বাহক” যারা ট্রেন এবং বাসে পলিথিনের বস্তায় চামড়া এবং হাড় লুকিয়ে রাখে, তাদের সাথে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। 

মধ্য ভারতের উপজাতি সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীগুলির একটি এধরনের বাঘ নিধন ও চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত। তারা “হাওলা তহবিল” ব্যবহার ছাড়াও এ কাজে নেপাল এবং মিয়ানমারে পৃথক সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট লেনদেন করে। ২০২২ সাল থেকে ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে অন্তত ১শ বাঘ নিধন করা হয়েছে বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া তদন্তে ভারতের চন্দ্রপুর থেকে আইজল, ব্যাংকের এসএমএস, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, শিলং গির্জা থেকে বিভিন্ন তথ্য ট্র্যাক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের রেকর্ড এবং আদালতের নথি ট্র্যাক করে বন কর্মকর্তা, তদন্তকারী এবং প্রাক্তন শিকারিদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। বাঘের চামড়া পরিবহনের সময় ঝুঁকি এড়াতে ভাড়া করা পরিবহনকারী এবং মাদক ও অস্ত্র সিন্ডিকেটের সাথে সম্পর্ক রয়েছে শিকারীদের।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে করবেট টাইগার রিজার্ভ এবং এর আশেপাশে পরিচালিত একটি গ্যাংয়ের কাছ থেকে উত্তরাখণ্ডের খাতিমা থেকে বাঘের চামড়া এবং হাড় জব্দ করা হয়। বিভিন্ন সংস্থার সূত্র জানিয়েছে যে, কোভিড-পরবর্তী বছরগুলিতে ৯০টি বাঘের জন্য সাড়ে ৭ থেকে ৮ কোটি রুপি প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রতিটি বাঘের জন্য ৮ থেকে ১২ লাখ রুপি ব্যয় করা হয়েছে। একজন সিনিয়র তদন্তকারী বলেছেন - নেপাল-তিব্বত রুটে চিতাবাঘের চামড়া এবং হাড়ের ব্যবসা বেশ লাভজনক , বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে বাঘের চাহিদা অনেক। 

ভারতের ৫৮টি বাঘ সংরক্ষণাগারের মধ্যে মাত্র আটটিতে কমপক্ষে ১০০ বা তার বেশি বাঘ রয়েছে। ২০২২ সালের সর্বশেষ জাতীয় হিসাব অনুসারে, ভারতে মোট বাঘের সংখ্যা ৩,৬৮২টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়