শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৮:০১ রাত
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অবসান হচ্ছে শ্বাসরুদ্ধকর সময়ের, পৃথিবীতে ফিরছেন দুই বিজ্ঞানী

প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। অবশেষে বাড়ি ফিরছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৯ মাস আটকে পড়া নভোচারীরা। তারা হলেন নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও ব্যারি বুচ উইলমোর। তাদের সঙ্গে আছেন গত সেপ্টেম্বরে আটকে পড়া আরও দু’বিজ্ঞানী নাসার নিক হেগ ও রাশিয়ার আলেকজান্দর গরবুনভ। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ৫ মিনিটে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্সের তৈরি ড্রাগন মহাকাশ যানে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ছাড়েন উইলিয়ামস ও উইলমোর। একই দিন বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত ৩টা এবং ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে পৃথিবীতে তাদের অবতরণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে তারা ১৭ ঘন্টার সফর করবেন পৃথিবীর দিকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। যাত্রা শুরু করার পর ড্রাগন নামের ওই মহাকাশযানের কমান্ডার নিক হেগ বলেন, ক্রু নাইন ঘরে ফিরছে। ক্রু নাইনের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, মহাকাশে বসবাস করা ও কাজ করা ছিলো সৌভাগ্যের বিষয়। 

স্টেশনে থাকা সহকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা জানি আইএসএস খুব দুর্দান্ত মানুষের হাতে আছে। বলেন, সেখানে তোমাদের পরবর্তী কার্যকলাপ দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো। উল্লেখ্য, ওই মিশনের প্রতিটি মুহূর্ত সরাসরি সম্প্রচার করে নাসা। এদিকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পূর্ব মুহূর্তে খুশিতে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ফ্লাইং কিস বা ‘চুমু’ দেন উইলিয়ামস ও উইলমোর। তাদেরকে পৃথিবীতে অবতরণে সকল প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। এসবের আগে প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে স্পেস স্যুটগুলো। তাতে কোনো ছিদ্র পাওয়া যায়নি। এছাড়া মহাকাশযান অবতরণের আগে আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পৃথিবীতে অবতরণের পর ওই দুই মহাকাশচারী হাঁটার মতো অবস্থায় থাকবেন না। নিশ্চিতভাবে তাদেরকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। 

২০২৪ সালের ৫ই জুন আন্তর্জাতিক স্টেশনে ৮ দিন থাকতে হবে এই উদ্দেশে স্টারলাইনার মহাকাশযানে যাত্রা করেন উইলিয়াম ও উইলমোর। তবে টেকনিক্যাল ইস্যুর কারণে ওই দুই ক্রু’কে মহাকাশে রেখেই ফিরে আসতে বাধ্য হয় স্টারলাইনার। এদিকে তাদের দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকা নিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্ক ওই নভোচারীদের দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার কারণ হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন। তারা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে নভোচারীদের মহাকাশ থেকে ফেরত আনতে দীর্ঘসূত্রতা করেন বাইডেন। ফেব্রুয়ারিতে জো রোগানের এক পডকাস্টে মাস্ক বলেন,  তিনি আট মাস আগেই ওই নভোচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে বাইডেন প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব দেন। তবে তারা তা প্রত্যাখান করে। কারণ এতে করে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের ইতিবাচক ভাবমূর্তি ফুটে উঠার সম্ভাবনা ছিলো। যা ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের নির্বাচনে জয়ের পথে অন্তরায় হতে পারতো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়