শিরোনাম
◈ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন : অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ পূর্ণ দিবস ধর্মঘট ঘোষণা, ঢাবির একাডেমিক-প্রশাসনিক ভবনে তালা ◈ মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম না কমালে কঠোর হবে সরকার: ফয়েজ আহমদ ◈ বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর দ্বিতীয় দিনেও ডলারের দাম স্থিতিশীল ◈ গত নয় মাসে গণমাধ্যম ভোগ করছে অভূতপূর্ব স্বাধীনতা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব (ভিডিও) ◈ কাশ্মীর ইস্যু নি‌য়ে আ‌লোচনায় বস‌তে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ◈ বাংলাদেশের ১০ জন কাবা‌ডি খেলোয়াড় চায় ভারত ◈ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলো দক্ষিণ সিটি (ভিডিও) ◈ কাস্টমসের কলম বিরতিতে বেনাপোল বন্দরে অচলাবস্থা ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলছে, আসছে কয়েক লাখ নতুন নিয়োগের সুযোগ

প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:২৭ দুপুর
আপডেট : ০৯ মে, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, সহিষ্ণু বাংলাদেশই চাই, সহিষ্ণুতার আর্জি আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের

আনন্দবাজার : যে কোনও রাজনৈতিক পালাবদলই কঠিন এবং তা সব সময় ভাল হবেই বলা যায় না বলে গারসেটি মন্তব‍্য করেন। কিন্তু ভারত এবং আমেরিকার নানা ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতার বিস্তৃত পরিসর রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতের দাবি।

আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সদ‍্য সমাপ্ত দিল্লি সফরেও বাংলাদেশ পরিস্থিতি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে ওঠে বলে শুক্রবার আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি জানালেন। কলকাতায় আনন্দবাজারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নতুন প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আমেরিকা যোগাযোগ রাখছে। বাইডেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন উভয়ের কাছেই সংখ‍্যালঘুর স্বার্থ প্রবল ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ভোট সম্পন্ন করা এবং সবাইকে সুরক্ষিত রাখায় আমেরিকা সব রকম ভাবে সাহায‍্য করতে তৈরি। দিল্লিতে সালিভানের আলোচনার অনেকটা জুড়েই ছিল বাংলাদেশের কথা।” সেই সঙ্গে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের মন্তব‍্য, “আমরা সবাই স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, সহিষ্ণু বাংলাদেশই চাই। এ বিষয়ে ভারত, আমেরিকা উভয়েরই স্বার্থ জড়িয়ে। এর জন‍্য আমরা আরও ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে পারি।”

যে কোনও রাজনৈতিক পালাবদলই কঠিন এবং তা সব সময় ভাল হবেই বলা যায় না বলে গারসেটি মন্তব‍্য করেন। কিন্তু ভারত এবং আমেরিকার নানা ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতার বিস্তৃত পরিসর রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতের দাবি। তিনি বলেন, “বিশ্বে উষ্ণায়নের মোকাবিলা, বাণিজ‍্য, তথ‍্যপ্রযুক্তি যোগাযোগের প্রসার থেকে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতায় ভারত আমেরিকার সব থেকে বড় ভরসাস্থল। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুদ্ধেও ভারত গ্রাউন্ড জ়িরো। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও সম্প্রতি পরমাণু শক্তির দায়িত্বপূর্ণ ব‍্যবহার নিয়ে দিল্লিতে কথা বলেছেন। ভারতেও চিনের মতো সুলভে অপ্রচলিত শক্তির সংস্থান করা যায়। পশ্চিমবঙ্গেও ব‍্যাটারি স্টোরেজ প্রকল্প গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা।”

ভারত একটি গণতন্ত্র বলেও ভারতের সঙ্গে নানা কাজে গাঁটছড়ার সুবিধা বলে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের মন্তব‍্য। তবে গারসেটির কথায়, “আমেরিকা বা ভারত, কোনও গণতন্ত্রই নিশ্ছিদ্র নয়। বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের মতো গণতন্ত্রেরও পরিচর্যা লাগে।”

তবে ভারত ও আমেরিকার ফারাক প্রসঙ্গে গারসেটির মন্তব‍্য, “ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলে থাকেন, আমেরিকার বিষয়ে উনি কথা বলবেন না, আমেরিকাও ভারতের বিষয়ে কিছু বলবে না। আমি কিন্তু বলব, উভয়ই উভয়ের বিষয়ে কথা বলুক। সব দেশেরই অভ‍্যন্তরীণ সমস‍্যা থাকে। সম্পর্ক অন্তরঙ্গ হলে খোলা মনে আরও কথা বলা যাবে।"

ভোটে কমলা হ‍্যারিসের হার বিশ্বব‍্যাপী ‘অ‍্যান্টি ইনকাম্বেন্সি’ বা ক্ষমতা বিরোধিতার পরিণাম বলেই গারসেটি মনে করেন। তিনি নিশ্চিত, ‘‘অদূর ভবিষ‍্যতে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখা যেতেই পারে।’’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়