শিরোনাম
◈ দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু: ট্রাভেল পাসের আবেদন তারেক রহমানের ◈ হাসিনার অনুসারীদের জামিন বিতর্কে আইন উপদেষ্টার উদ্বেগ প্রকাশ ◈ প্রার্থীদের অস্ত্রের ঝুঁকি, নিরপেক্ষ প্রশাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ ইসির ◈ কূটনীতির রীতিনীতি কি উপেক্ষা করছেন প্রণয় ভার্মা ◈ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার হবে সিঙ্গাপুরে, অনুমতি দিয়েছে পরিবার ◈ দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলো সরকার ◈ দুর্বল প্রতিপ‌ক্ষের বিরু‌দ্ধে  লড়াই ক‌রে জিত‌লো ‌রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ মেয়েকে নিয়ে ২৫ তারিখ সকাল ১১টায় ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান ◈ নির্বাচন নিয়ে ভারতের 'নসিহতে' বাংলাদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়া কেন? ◈ শেষ স্ট্যাটাসে ওসমান হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:২৮ রাত
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জিসিএস লেভেল কী, এটা দিয়ে রোগীর যা বোঝায়

আমাদের মানসিক অবস্থা নির্ভর করে জ্ঞান, চেতনা, প্রজ্ঞা, কর্মক্ষমতা আর বোঝার দক্ষতার ওপর। এসব পরিমাপের অনেকগুলো স্কেল রয়েছে। তার মধ্যে বেশি ব্যবহার হয় জিসিএস (গ্লাসগো কোমা স্কেল) নামে একটা স্কেল।

জিসিএস কী এবং কীভাবে পরিমাণ করা হয়—এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হাসান মোস্তফা রাশেদ।

জিসিএস কী
গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) হলো একটা নিউরোলজিক্যাল স্কেল, যার মাধ্যমে কোনো রোগীর কনশাসনেস লেভেল বা চেতনার স্তর পরিমাপ করা হয়।

এই স্কেলের মান ৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত হয়। একজন মৃত মানুষের জিসিএস হয় ৩, আর একজন পুরোপুরি সুস্থ মানুষের জিসিএস ১৫। অর্থাৎ জিসিএস যত কম, রোগীর অবস্থা তত মারাত্মক।
যখন একজন মানুষের চেতনার স্তর কমতে থাকে তখন প্রথম স্তরকে বলা হয় লেথারজি। এ স্তরে জিসিএস ১৩ থেকে ১৫ এর মধ্যে থাকে এবং রোগীর মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব থাকে। তবে রোগীকে সহজেই ডেকে তোলা যায়।

জিসিএস আরও কমে যখন ৯-১২ এর মধ্যে চলে যায়, তখন এ স্তরকে বলে অবটানডেশন বা স্টুপর। রোগীকে এই স্তরে খুব শক্তিশালী ব্যথা দিলে কিছুটা চেতনা ফিরে পায়।

আর জিসিএস যখন ৮ বা তার নিচে চলে যায় তখন তাকে কোমা বলে। এই স্তরে রোগী এতটাই অবচেতন থাকে যে কোনোভাবেই তাকে জাগানো সম্ভব হয় না।

জিসিএস সাধারণত মাথায় আঘাত, স্ট্রোক, ব্রেন ড্যামেজ, গুরুতর অসুস্থ রোগী, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের ক্ষেত্রে এই স্কোর কাজে লাগানো হয়।

জিসিএস কীভাবে পরিমাপ করা হয়?
ডা. হাসান মোস্তফা রাশেদ বলেন, গ্লাসগো কোমা স্কেল পরিমাপ করা হয় রোগীর তিনটি বিষয়ের মাধ্যমে। তা হলো—

১. চোখ খোলার সক্ষমতা (আই ওপেনিং)

২. কথা বলার সক্ষমতা (ভারবাল রেসপন্স)


৩. শরীরের নড়াচড়ার সক্ষমতার ওপর (মোটর রেসপন্স)


মোটর রেসপন্স—যার স্কোর সর্বোচ্চ ৬, এখানে সাধারণত রোগীর অঙ্গসঞ্চালন বা পেশীর কার্যক্ষমতা দেখা হয়। অর্থাৎ রোগী হাত-পা নাড়া চাড়া করতে পারে কি না।

ভারবাল রেসপন্স—যার স্কোর সর্বোচ্চ ৫, এখানে সাধারণত রোগীর কথা বলার দিকটা দেখা হয়। পূর্ণাঙ্গ শব্দ তৈরি থেকে গোঙানির মতো শব্দ তৈরি বা কোনো শব্দ তৈরি করতে পারা না পারার ওপর স্কোর নির্ধারণ করা হয়।

আই ওপেনিং—যার স্কোর সর্বোচ্চ ৪, এখানে চোখের কার্যকারিতা দেখা হয়। রোগী নিজেই চোখ খুলতে পারে নাকি ব্যথা দিলে চোখ খুলে নাকি একেবারেই চোখ খুলতে পারে না এর ওপর ভিত্তি করে স্কোর নির্ধারিত হয়।

জিসিএস মূলত রোগীর অবস্থার একটা পূর্বাভাস। জিসিএস যত কমতে থাকে, রোগীর ভেন্টিলেশন বা কৃত্রিম শ্বাস গ্রহণের ব্যাপারটি তত দরকার হয়ে পড়ে। এমনকি রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রা, কিডনি ফাংশন, মস্তিষ্কের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আলাদা সাপোর্ট প্রয়োজন হয়ে পরে।

জিসিএস ≠ ৮ হলে অর্থাৎ রোগী কোমাতে গেলে শ্বাসনালীতে সমস্যা এবং অ্যাসপিরেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে; ইনটিউবেশন বা শ্বাসনালীতে নল প্রবেশ করিয়ে তখন শ্বাসনালী সুরক্ষার প্রয়োজন হয়।

রোগীর ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এই স্কেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কোরে উন্নতি বা অবনতি হলে মস্তিষ্কের আঘাত বা সংশ্লিষ্ট জটিলতার পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন হয়। উৎস: ডেইলি স্টার।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়