গরুর মাংস অনেক পুষ্টিকর হলেও এতে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ও কোলেস্টেরল হৃদরোগীদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে হার্টের রোগীরাও সীমিত পরিমাণে গরুর মাংস খেতে পারেন।
চর্বিমুক্ত অংশ বেছে নিন: মাংস রান্নার আগে ভালোভাবে চর্বি কেটে ফেলুন। লাল মাংসের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে এতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যতটা সম্ভব লীন বা চর্বিমুক্ত অংশ গ্রহণ করুন।
মাপজোখ করে খান: সপ্তাহে ১-২ বার এবং একবারে ৫০-৭৫ গ্রাম (১-২ টুকরা) পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ বিবেচিত হয়।
সেদ্ধ বা গ্রিল করে রান্না করুন: ভাজাপোড়া পরিহার করে সিদ্ধ, গ্রিলড বা হালকা তেলে রান্না করা খাবার বেছে নিন। তেলে ভাজা মাংস হৃদযন্ত্রে বাড়তি চাপ ফেলতে পারে।
লবণ কম ব্যবহার করুন: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের বড় কারণ। রান্নায় অতিরিক্ত লবণ, সস, ফাস্টফুড টাইপ মশলা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
সাথে আঁশযুক্ত খাবার খান: মাংসের সাথে সালাদ, সবজি, ডাল বা শাক খেলে হজম ভালো হয় ও রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রাতের খাবারে গরুর মাংস এড়িয়ে চলুন: রাতে হজমের গতি কমে যায়, তাই গরুর মাংস দুপুরে খাওয়াই ভালো।
প্রক্রিয়াজাত (Processed) মাংস একেবারেই নয়: সসেজ, সালামী, বিফ বারগার ইত্যাদি রেডি টু ইট খাবারে থাকে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও সংরক্ষণকৃত রাসায়নিক—যা হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
যাদের একদম এড়ানো উচিত: যাদের হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়েছে বা ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে
উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল রয়েছে
কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউর বা হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়েছে
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: হার্টের রোগীদের খাদ্য তালিকা নির্ধারণে অবশ্যই একজন ডায়েটিশিয়ান বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ-এর পরামর্শ নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী মাংস খাওয়ার পরিমাণ ও পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।
হার্টের রোগীদের জন্য গরুর মাংস পুরোপুরি নিষিদ্ধ নয়, তবে এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও পরিমিতিবোধ অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যই প্রথম—তাই আনন্দের খাবার যেন দুঃখের কারণ না হয়, তা নিশ্চিত করাই বুদ্ধিমানের কাজ।