পারকিনসন্স রোগ একটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ। এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল পেশি নিয়ন্ত্রণহীনতা, যা বিশ্রামের সময়ে মাথা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাঁপতে থাকে, মন্থরতা, পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া এবং শরীরের ভারসাম্যহীনতা।
লক্ষণগুলি খারাপ হওয়ার সাথে সাথে কথা বলা, হাঁটা এবং সাধারণ কাজগুলি সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই রোগের লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে বোঝা যায়। কখনও কখনও শুধু এক হাতে হালকা কাঁপুনি দিয়ে শুরু হয়। আবার কখনো শরীরের কোনো একটা অংশ স্টিভ বা শিথিল হয়ে যেতে পারে।
কাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
সাধারণত মধ্যবয়স্ক বা বয়স্কদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । রোগে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স ধরা যেতে পারে প্রায় ৬০ বছর। নারীদের তুলনায় পুরুষরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। একই পরিবারে একাধিক সদস্য এই রোগে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি আরও বেশি থাকে। কোনো রকম কীটনাশক ও আগাছানাশক সংস্পর্শে এলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। মস্তিষ্কে আঘাত লাগলেও পারকিনসনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে ৷
এই রোগে আক্রান্ত তা কীভাবে বুঝবেন?
আচমকাই দেখলেন হাতের আঙুল হালকা কাঁপতে শুরু করেছে। ঠিক মতো পেন বা কোনো জিনিস ধরতে পারছেন না। বা দেখছেন আপনার কোনো প্রিয়জনের হাত চালানোর গতি ধীর হয়ে গিয়েছে। এমন লক্ষণ যদি দেখেন দেরি করবেন না। স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রতিরোধ করতে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন?
প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর এবং ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা ৷ গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কফি এবং গ্রিন টি নিয়মিত পান করলে পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকি কমে যায়। অ্যারোবিক এক্সারসাইজ ৷ হাঁটা, সাঁতার কাটা এবং যোগাসন পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে ৷ মানসিক অনুশীলন, ধাঁধার সমাধানসহ বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন ৷