ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং কার্যালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।
এর আগে আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এ সকল নির্বাচনসমূহে (ডাকসু ও হল সংসদ) দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ নেই।’
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি তাঁরা পরিকল্পনায় রেখেছেন। যদি প্রয়োজন হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাঁরা এই সহযোগিতা চাইবেন। তবে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মারুফুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেনা মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল। তাঁদের দাবি ছিল, ভোটকেন্দ্রগুলো আবাসিক হল থেকে বের করে আনার, সেটি হয়েছে।
মারুফুল হক আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থীর সব কটি ভোট দিতে আট মিনিট করে সময় লাগবে। শতভাগ ভোটার উপস্থিত থাকলেও যাতে সবাই ভোট দিতে পারেন, সে অনুপাতে ভোটকেন্দ্রে বুথ স্থাপন করা হবে। সবাই ভোট দিতে পারবেন। কোনো অনিয়ম হবে না। সবাই ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম আশঙ্কা এ মুহূর্তে নেই।
আচরণবিধি–সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ক্যাম্পাসে এ মুহূর্তে কোনো ব্যানার-ফেস্টুন নেই। প্রক্টর অফিসের মাধ্যমে সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রার্থীরা হ্যান্ডবিল-লিফলেট বিতরণ করতে পারবেন, তাঁরা সেটা করছেনও।
আচরণবিধি–সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান বলেন, চারুকলায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আজকের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন দেবে। আজ সারা দিনে আচরণবিধি ভাঙার কোনো অভিযোগ তাঁরা পাননি বলেও জানান তিনি।
গোলাম রব্বানী আরও বলেন, এর আগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গানবাজনা করে ইশতেহার প্রকাশের একটি অভিযোগ পেয়েছিলেন। ওই প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। জবাব পাওয়ার পর তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আবারও এমন ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথম আলো