ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৪০৩ জন কর্মীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইশতিয়াক রাহুল।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আরিফ ইশতিয়াক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে লেখেন, ‘মি. সাইফুদ্দীন, কারণ দর্শানো তো দূরের কথা, আপনার মতো অসভ্যের সাথে বসে চা খেতেও রাজি হবো না। শিক্ষাজীবন অসমাপ্ত রেখে নিজেকে আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেবো, তবুও আপনার কাছে মাথা নত করবো না।’
তিনি আরো লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম নিজের যোগ্যতায়, আপনার দয়ায় নয়। আজ যদি নিজের আদর্শে অটল থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয় তাহলে হাসতে হাসতে ছাড়বো। এতটুকুও আফসোস থাকবে না। বয়সে বেড়েছেন বটে, কিন্তু ছাত্রলীগকে এখনো চেনেননি। ছাত্রলীগ কারো দয়ায় চলে না।’
পালানোর রাস্তা পাবেন না হুমকি দিয়ে তিনি লিখেন, ‘জুলাইয়ে আমি কী কী সহিংসতা করেছি, তার জবাব আপনার কাছ থেকে নেব। হয়তো আজ নয়, কিন্তু কোনো একদিন। কলমের জায়গায় কলম থাকবে, চেয়ারের জায়গায় চেয়ারও, কিন্তু আপনার জায়গায় আপনি থাকবেন না। আমি বেঁচে থাকি বা না থাকি, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এক ইঞ্চি মাটিতেও আপনার ঠাঁই হবে না। পালানোর রাস্তা পাবেন না। আর যে ৪০৩ জনের তালিকা প্রকাশ করেছেন সে ৪০৩ জনকে আপনি চেনেন না। ক্ষমতার বলে আপনি দিনকে রাত বানাতে পারবেন, কিন্তু ৪০৩ জনের একজনকেও আপনার অনুগামী করতে পারবেন না। সাময়িক বহিষ্কার নয়, আপনি আমাকে স্থায়ী বহিষ্কার করেন। আপনার বহিষ্কারে আমার কিছুই যায় আসে না। যেদিন স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমি আমার ক্যাম্পাসে ফিরবোই। কথাটা মাথায় রাখবেন।’

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘অভিযুক্তদের ব্যাপারে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হলে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্পণের সুযোগ দিতে হয়। এটা একটি প্রসেস। তারা নির্বোধ, তাই এটাও বুঝে না। তাই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে।’
হুমকির বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর বলেন, ‘আপাতত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি না। প্রসেস অনুযায়ী তারা প্রক্টর অফিস বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেবে।’
সূত্র: ঢাকা পোস্ট