খালিদ আহমেদ: ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। এক দিনে এর আগে কখনও এত বেশি মান হারায়নি দেশের মুদ্রা।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা।
গত বৃহস্পতিবার ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৯০ পয়সা কমিয়ে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। একদিনে এটিই ছিল টাকার সবচেয়ে বেশি দরপতন।
বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাফেদা (বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন) এবং এবিবি (অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ ) মনে করছে এ রেটের নিচে ডলারের দাম দিলে প্রবাসী আয় কম আসছে। তাই বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দাম ঠিক করা হয়েছে।
এর আগে, বিদেশ থেকে আরও বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে উৎসাহিত করতে গত ২ জুন ডলারের দামের সীমা তুলে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করার ফলে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ৮৫ টাকা ছাড়ায়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারিতে এটি বেড়ে ৮৬ টাকায় পৌঁছে। এরপর ২২ মার্চ পর্যন্ত এ দরেই স্থির ছিল।
পরে গত ২৩ মার্চ আন্তঃব্যাংকে আরও ২০ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। ২৭ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ১০ মে ২৫ পয়সা, ১৬ মে ৮০ পয়সা ও ২৩ মে ৪০ পয়সা বাড়ে। ফলে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম গিয়ে ঠেকে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সায়। এরপর গত ৩১ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা এবং ২ জুন ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।