শিরোনাম
◈ এবার টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনার নামে করা মামলা ৪৮ ঘণ্টার মাথায় প্রত্যাহার, কারণ যা জানাগেল ◈ ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাবাহিনী প্রধান ◈ দেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম ◈ দুই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনকে কেন জামিন নয়, হাইকোর্টের রুল ◈ নুরের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ ডিএনসিসির, জবাব দিল গণঅধিকার পরিষদ ◈ চাকরিতে শৃঙ্খলা ফিরাতে নতুন অধ্যাদেশ, কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ◈ পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় বিশৃঙ্খলা করছেন নুর, অভিযোগ ডিএনসিসির ◈ উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজকে পদত্যাগ করতে হবে: ইশরাক (ভিডিও) ◈ নতুন পররাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন আসাদ আলম ◈ ভারত পুশ-ইনের ঘটনায় চিঠির জবাব দেয়নি: তৌহিদ হোসেন

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২৫, ০৭:৪৮ বিকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

১ শতাংশ হিসাবধারীর দখলে দেশের ৪২ শতাংশ আমানত : পিআরআই

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে আমানতের ৪২ শতাংশই মাত্র ১ শতাংশ হিসাবধারীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। প্রতি জনের হিসাবে এক কোটি টাকার বেশি জমা রাখা এই অতি-ধনী গোষ্ঠী দেশের আর্থিক সম্পদের বড় একটি অংশের মালিক। বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এই তথ্য প্রকাশ করে। ‘বাংলাদেশের আর্থিক খাতের ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক প্রবণতা’ শীর্ষক গবেষণাটি আন্তর্জাতিক গ্রোথ সেন্টারের সহায়তায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়। 

এই গবেষণায় দেশের ব্যাংকিং খাতে আঞ্চলিক বৈষম্য এবং ধনসম্পদের কেন্দ্রীভবনের প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে, যা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের মোট আমানতের ৩৫ শতাংশের বেশি শুধু দুটি জেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে কেন্দ্রীভূত। ঋণের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ব্যাংকিং খাতের মাত্র ১.২ শতাংশ ঋণ হিসাবের পরিমাণ এক কোটির বেশি, কিন্তু এসব হিসাব মিলিয়ে তারা মোট ঋণের প্রায় ৭৫ শতাংশ দখলে রেখেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের মোট ঋণের ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ গেছে শিল্প খাতে, যেখানে কৃষি খাতে ঋণ ছিল মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এই ধরনের বৈষম্যমূলক চিত্র সরকারের নীতিনির্ধারণে পুনর্বিন্যাসের দাবি রাখে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক শাখার ঘনত্ব বিশ্বে সর্বোচ্চ। এখন আর নতুন শাখা খোলার দিকে নজর নয় বরং বিদ্যমান শাখার কার্যকারিতা বাড়ানোই মূল লক্ষ্য।

গভর্নর জানান, গ্রামের গৃহস্থালি সঞ্চয় আনতে নারী ব্যাংকিং এজেন্ট নিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ভবিষ্যতে এজেন্ট ব্যাংকগুলো যখন ঋণ বিতরণ শুরু করবে, তখন গ্রামে মাইক্রোক্রেডিটের সুদের হার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই কমে আসবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের পরিধি বাড়াতেও কাজ করছে, যাতে ডিজিটাল লেনদেন আরও সহজ হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়