শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২৫, ১১:৪৬ রাত
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাজারভিত্তিক হার চালুর ৩ দিনের মাথায় ডলারের দাম বাড়ল

ডলারের বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর ৩ দিনের মধ্যে এর দাম বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেফারেন্স রেটে শনিবার ডলারের দাম ২০ পয়সা বেড়ে ১২২ টাকা ২০ পয়সা হয়েছে। প্রায় ৫ মাস পর ডলারের দাম ১২২ টাকা অতিক্রম করল। কোনো কোনো ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ানোর কারণে সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেফারেন্স রেট বেড়েছে। 

তবে শনিবার বেশির ভাগ ব্যাংকেই সর্বোচ্চ ১২২ টাকা দামে ডলার বেচাকেনা হয়েছে। কিছু ব্যাংক বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনায় তারা ১২২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১২৩ টাকা দামে ডলার বিক্রি করেছে। এতেই বেড়েছে রেফারেন্স রেট। তবে খোলা বাজার ও মানিচেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডলারের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার থেকে আইএমএফের শর্ত মানতে ডলারের দাম বাজারভিত্তিক ঘোষণা করে। এর ৩ কার্য দিবসের মধ্যেও ব্যাংকে ডলারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্বভাবিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বিশেষ তদারকি বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার কার্যক্রম পরিদর্শনসহ ডলারের সরবরাহ ও দেনা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের মতে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের মাধ্যমে ডলারের প্রবাহ বাড়ায় ব্যাংকে ডলারের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোর ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান আরও কমে এসেছে।

ব্যাংকগুলোতে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলার এখনো সর্বোচ্চ ১২২ টাকা করেই বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু ব্যাংক ১২২ টাকা দরে রেমিট্যান্স কিনে ১২২ টাকা ৫০ পয়সা বা ১২৩ টাকা দরে বিক্রি করছে। কিছু ব্যাংক বাড়তি ডলার সংগ্রহের জন্য কেনার দাম বাড়িয়েছে। তারা ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার কিনছে। বিক্রি করছে ১২২ টাকা করে। ফলে এসব ব্যাংকের ডলার ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান কমে ৫০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আগে ব্যবধান ছিল ১ টাকা।

এদিকে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি কার্য দিবসেই বাজারে ডলারের সরবরাহ চাহিদা ও ব্যাংকগুলোর গড় দাম পর্যালোচনা করে দুই দফায় রেফারেন্স রেট প্রকাশ করছে। বেলা ১১টার মধ্যে একটি ও বিকাল ৫টার মধ্যে একটি রেট প্রকাশ করছে। ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে এই রেফারেন্স রেটের চেয়ে ডলারের দাম যাতে বেশি বাড়ানো না হয়। বেশি বাড়ালেই তার কারণ অনুসন্ধান শুরু করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শনিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত ডলারের রেফারেন্স রেট ছিল ১২১ টাকা ৯১ পয়সা। বিকাল ৫টায় প্রকাশিত রেফারেন্স রেটে তা বেড়ে ১২২ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। অর্থাৎ শনিবার ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। যে কারণে রেফারেন্স রেটে এর প্রভাব পড়েছে।

এদিকে খোলাবাজারে ডলারের দাম সামান্য বেড়ে শনিবার সর্বোচ্চ ১২৬ টাকায় উঠেছে। এদিন মানিচেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ১২৬ টাকা দামে ডলার বিক্রি করেছে। বৃহস্পতিবার ছিল ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা। খোলা বাজারেও সর্বোচ্চ ১২৬ টাকা দরে ডলার বেচাকেনা হচ্ছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়