শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২৫, ০৩:০২ দুপুর
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল অনেকটা বিদেশি ভূখণ্ডের মতো: বিডা চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)–এর চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৪০০ একর জমির ওপর একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) গড়ে তোলা হবে। তিনি একে দেশের অর্থনীতির জন্য 'গেম চেঞ্জার' (আমূল পরিবর্তন আনা) হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে আশিক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, 'একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল অনেকটা বিদেশি ভূখণ্ডের মতো। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে কারখানা গড়ে পণ্য বিদেশে পাঠাতে পারবে। তারা বাংলাদেশের কোনো দপ্তর-ঘোরাফেরা ছাড়াই কাজ করতে পারবে। দেশের শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে উভয় পক্ষেরই লাভ হবে।'

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের কাছে হওয়ায় আনোয়ারার এই জায়গাটি প্রাথমিক বিবেচনায় রয়েছে জানিয়ে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, 'আমরা এখন এই অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত জমি খুঁজছি। আজ আমরা আনোয়ারায় যে জমি পরিদর্শন করেছি, সেটিই আমাদের প্রাথমিক ভাবনায় রয়েছে।'

আশিক আরও জানান, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল স্থাপনের রূপরেখা তৈরির জন্য ইতোমধ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।

তিনি বলেন, 'মূল্যায়ন শেষ হলে এই দল আমাদেরকে অঞ্চলটি কোথায় গড়ে তোলা হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে।'

সময়সীমা নির্ধারণ করে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, 'আমরা চাই, এ বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হোক। কোথায় গড়ে তোলা হবে, কে পরিচালনা করবে, কবে শুরু হবে—এসব বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাই।'

বে টার্মিনাল ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করবে

আশিক চৌধুরী আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল চালু হলে সেখানে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, 'পিএসআই সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ড—দুটি প্রতিষ্ঠানই দুটি পৃথক টার্মিনাল নির্মাণে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে। তৃতীয় টার্মিনালের বিনিয়োগকারী নির্বাচিত হবে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে, যেখানে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিতে পারবে। ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।'

তিনি আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে নির্মাণাধীন বে টার্মিনাল পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'নির্মাণ শেষ হলে ১৩ মিটার গভীরতার বড় জাহাজগুলো বে টার্মিনালের ঘাটে ভিড়তে পারবে, আর শুধু এই টার্মিনাল থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বছরে ৩৫ লাখ কনটেইনার সামলাতে পারবে।'

আশিক চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেন, 'বে টার্মিনাল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনবে।'

আশিক চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সংবাদ সচিব শফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান এবং উপদেষ্টার উপ-সংবাদ সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখছেন। উৎস: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়