শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৩৬ বিকাল
আপডেট : ০১ মে, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

মুক্ত বাণিজ্য এলাকা স্থাপনে কমিটি গঠন, এ বছরেই জোন ঘোষণা: বেজা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্ত বাণিজ্য এলাকা বা ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপনে জাতীয় কমিটি গঠন করে এক বছরের মধ্যে জোন ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) উদ্যোগে বাংলাদেশে ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপনে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন, অর্থনীতি ও রপ্তানিতে বৈচিত্র আনয়ন, আঞ্চলিক উন্নয়নসহ নানাবিধ কারণে বর্তমান বিশ্বে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা বা ফ্রি ট্রেড জোন (এফটিজেড) অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে এফটিজেড স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহের আইন, প্রণোদনা, মডেল ইত্যাদি পর্যালোচনার লক্ষ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বেজা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিডার প্রতিনিধিবৃন্দকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই কমিটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, কাস্টমস আইন, আমদানি ও রপ্তানি আইনসহ সংশ্লিষ্ট সকল আইন, বিধি, বিধান পর্যালোচনা করবে এবং ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপনের সহায়ক হয় অনুরূপ আইন, বিধি, গাইডলাইনস প্রণয়ন/ সংশোধন করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব শেখ বশিরউদ্দীন এবং বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের যৌথ উদ্যোগে এই এফটিজেড বাস্তবায়িত হবে। 

গঠিত এই কমিটির প্রথম সভা ৬ মে অনুষ্ঠিত হবে। কমিটির কার্য পরিধির মধ্যে রয়েছে- ক) এফটিজেড-এ সফল দেশসমূহের এফটিজেড পরিচালনার মডেল, আইন, নীতি, প্রণোদনা ইত্যাদি বিষয়ে পর্যালোচনা করা এবং সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এফটিজেড স্থাপনের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কাঠামোর খসড়া প্রস্তুত করা। খ) এফটিজেড স্থাপনের সম্ভাব্য উপযুক্ত স্থানসমূহ (জোন) নির্বাচন করা এবং উক্ত স্থানসমূহের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই করা। গ) সম্ভাব্য স্থানসমূহের ভৌগোলিক, অবকাঠামোগত ও লজিস্টিকস সুবিধা যাচাই করা। ঘ) এফটিজেড স্থাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজন নির্ণয় করা এবং তাদের সাথে প্রয়োজনীয় আলোচনা করা এবং ঙ) এফটিজেড লক্ষ্যে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ, কার্যক্রম ও সহায়তা প্রদান করা।

এতে সভাপত্বিত্ব করবেন বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজ শুরু হয়েছে। এই হাবের জন্য ফ্রি ট্রেড জোন অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। গঠিত জাতীয় কমিটির কার্যকর সমন্বয় এবং সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হলে এই বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপনে জোন ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) হলো এমন নির্দিষ্ট এলাকা যেখানে শুল্ক কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়াই পণ্য আমদানি, উৎপাদন এবং পুনঃরপ্তানি করা যেতে পারে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং শিল্পায়নের পরিবেশ উৎসাহিত করার কারণে এফটিজেড সফল অর্থনৈতিক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। উল্লেখ্য ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সামিটের অংশ হিসেবে ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এর সাথে একটি সেন্সিটাইজেশন সেমিনারের আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় ডিপি ওয়ার্ল্ড এর সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে ডিপি ওয়ার্ল্ড এর চেয়ারম্যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়