শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২৫, ১২:১৩ দুপুর
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউরোপের বাজারে কদর বাড়ছে তৈরি পোশাকের

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর ক্রমশই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। এবার ইউরোপের বাজারেও চমক সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারিতে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫২.৫৬ শতাংশ। গতকাল ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট ও বিজিএমইএর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ৬ হাজার ৮৫৪ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৫৭৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ চলতি বছর জানুয়ারিতে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।

এদিকে জানুয়ারিতে ইউরোপে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীনের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৩৩ শতাংশের বেশি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যেখানে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ১ হাজার ৮৪১ মিলিয়ন ডলার, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৫৯ মিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫২.৫৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ১ হাজার ২৯৬ মিলিয়ন ডলার; সেদিক থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭৭ মিলিয়ন ডলার।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে ইউরোপে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, কলোম্বিয়ার ৬৩ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২৭ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৫ শতাংশ, মরক্কোর সাড়ে ৩ শতাংশ, শ্রীলংকার ৪৩ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার ১৬ শতাংশ। তবে ইউরোপে জানুয়ারিতে একমাত্র তুর্কির পোশাক রপ্তানি কমেছে, যা মাত্র দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশটিতে সাকল্যে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে আগের তুলনায় বেশি। গত ১১ মার্চ ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, চলতি বছরজুড়ে কাজের অর্ডার বাড়ার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেতারা বাংলাদেশে সোর্সিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধির গতিপথ অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য কৌশলগত পরিবর্তন আরও জরুরি। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির মুখে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলকতা বজায় রাখা এবং মুনাফার মার্জিন রক্ষা করার জন্য মূল্য সংযোজন এবং বাজার বৈচিত্র্য এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সূত্র: দেনিক আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়