ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর থানাধীন মালশিরা গ্রামে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আন্তজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মালামাল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ৫ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল আলম। তিনি জানান, তানোরের মালশিরা গ্রামের মো. মোয়াজ্জেমুল হোসেনের বসতবাড়িতে ডাকাত দল হানা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং একটি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়।
ভিকটিম মোয়াজ্জেমুল হোসেন পরদিন অজ্ঞাতনামা ৬-৮ জনের বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।রাজশাহী জেলা পুলিশের ডিবি টিম দ্রুত তদন্তে নামে এবং ৮ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত হলেন: ১. মো. শাহাদত হোসেন কলম (৩৩) - আদমদিঘী, বগুড়া ২. মো. শান্ত ইসলাম (২৬) - মান্দা, নওগাঁ ৩. মো. বেলাল হোসেন (৩০) - নাজিরপুর, পিরোজপুর ৪. মো. শুকুর আলী (৫২) - ধোপাইলকুড়ি, নওগাঁ ৫. মো. শাকিল হোসেন (৪০) - আক্কেলপুর, জয়পুরহাট ৬. মো. রানা হোসেন (২৪) - বদলগাছী, নওগাঁ ৭. মো. রাসেল হোসেন (২২) - বদলগাছী, নওগাঁ ৮. মো. এখলাছ রহমান মিন্টু (৪২) - চক এলাম, নওগাঁ সদর।
তিনি আরও জানান, এই চক্রটি আন্তঃবিভাগীয় ডাকাতি ও দস্যুতা কার্যক্রমে জড়িত এবং রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় একাধিক চুরি, ডাকাতি ও দস্যুতার মামলায় অভিযুক্ত। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম জয়পুরহাট জেলার তিলকপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে ১ থেকে ৭ নম্বর এবং নওগাঁ সদর থেকে ৮ নম্বর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এদের মধ্যে মো. শুকুর আলী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, ঘটনার রাতে তারা বাড়ির প্রধান দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বাসার সদস্যদের হাত, পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
পুলিশ জানায়, ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্তকরণ ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।