ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীতে কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত কথিত ‘মহা উন্নয়ন’ আজ নগরবাসীর জন্য পরিণত হয়েছে মহা দুর্ভোগে। নির্মাণের দুই বছরের মাথায় ভেঙেচুরে বেহাল হয়ে পড়েছে সড়ক। খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলো বৃষ্টিতে তলিয়ে ছোট-বড় গর্তে পরিণত হচ্ছে, দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য পথচারী ও যানবাহন।
রাসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মোট ৩৬ কিলোমিটার মূল সড়কের মধ্যে ৩২ কিলোমিটারই বর্তমানে অচল অবস্থায় রয়েছে। অথচ এই উন্নয়ন কাজে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় দেখানো হয়েছে গড়ে ১৩ কোটি টাকা। অভিজ্ঞ ঠিকাদারদের মতে, একই মানের সড়ক ড্রেনসহ নির্মাণে সর্বোচ্চ ৭–৯ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু অস্বাভাবিক ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা টিকলো না দুই বছরও।
বিশেষ নজরে এসেছে ভদ্রা থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক। ৫৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২২ সালে কাজ শেষ হলেও পরের বছরেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্র জানায়, কাজটি পেয়েছিল ‘বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কোম্পানি’, যার মালিক বজলুর রহমান সাবেক মেয়রের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল উত্তোলন করা হয়।
এখন পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, রাসিক কর্তৃপক্ষ পুরো শহরের রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে মাত্র ৫০ লাখ টাকা।
শুধু একটি নয়, রাজশাহীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কই এখন অচল অবস্থায়—
এসব সড়কও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হলেও একে একে ভেঙে পড়ছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন বলেন, “চলতি মাসের শেষ নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হবে। তবে মাত্র ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অর্থের অভাবে বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।”