শিরোনাম
◈ রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নতুন রেকর্ড আগস্টে ৭৭১.৭০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন ◈ রাজধানীর মৌচাকে মসজিদে আগুন ◈ ৬ ঘণ্টা পর রেল অবরোধ তুলে নিলেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা, আলোচনায় বসছে কর্তৃপক্ষ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ক্যাম্পাস হঠাৎ উত্তপ্ত কেন? ◈ ভয়ংকর ক্ষুদ্র জীবাণু মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার প্রাদুর্ভাব কেরালায়: এক মাসে ৩ মৃত্যু, আক্রান্ত শিশু ও নারী ◈ ডাকসু নির্বাচন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ল চেম্বার আদালতে, কাল শুনানি ◈ হাসিনা-জয়-পুতুলদের প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ◈ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশ ইসির ◈ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ১১০০ ◈ উত্তরা ইপিজেডে কারখানা বন্ধের ঘোষণায় সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত, আহত অন্তত ১২ জন

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:০৫ রাত
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যয় বাড়লেও চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দরের কাজ বন্ধ এক বছরেরও বেশি সময়

মিজান লিটন, চাঁদপুর: চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দরের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ২৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৯৩ কোটি টাকায় উন্নীত করা হলেও এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ এগোয়নি। তমা কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে রেখেছে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ।

অবকাঠামো না থাকায় প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের ঠিকাদারকে বাদ দিয়ে নতুন করে প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ এক বছর তিন মাস ধরে বন্ধ। ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর একনেকে অনুমোদন পায় ‘চাঁদপুর আধুনিক নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প’। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে ব্যয় ধরা হয় ৬৭ কোটি টাকা, পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে বিকল্প পদ্ধতিতে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে কাজ আর এগোয়নি। গত বছরের জুন থেকে প্রায় ১৫ মাস ধরে প্রকল্প পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

প্রতিদিন ঢাকা-চাঁদপুরসহ বিভিন্ন রুটে অর্ধশতাধিক লঞ্চ চলাচল করে এই বন্দর দিয়ে। দেশের অন্যতম নৌরুট হলেও নেই যাত্রীছাউনি, বসার জায়গা কিংবা টয়লেট। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষায় যাত্রীদের ভিজতে হচ্ছে।

একজন যাত্রী বলেন, “বছরের পর বছর ধরে দেখছি ঘাটে কাজ চলছে। অথচ কোনো উন্নতি নেই। বসার জায়গা, ছাউনি বা টয়লেট কিছুই নেই। বৃষ্টির সময় সবচেয়ে কষ্ট হয়।”

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী বন্দর চাঁদপুরের অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। “ঠিকাদার অর্থ না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রেখেছে। দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে।”

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের কর্মী মোশারফ হোসেন বলেন, “আমি এক মাসের বেশি সময় ধরে এখানে আছি। তখন থেকেই কাজ বন্ধ। কবে শুরু হবে, জানি না।”

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক (বন্দর) বসির আলী খান জানান, “আগের ঠিকাদারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিলে বরাদ্দসহ দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়