আজিজুল ইসলাম, যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া ও মাগুরার শালিখা উপজেলার মধ্যে চিত্রা নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। এতে দুই উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভেলায় করে পারাপার হলেও সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা।
স্থানীয়রা জানান, চিত্রা নদীর ওপর স্থায়ী সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে খানপুর ও হরিশপুর ঘাটে গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার করছিলেন। প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ ও ৪ ফুট চওড়া সাঁকোটি ছিলই তাদের একমাত্র ভরসা। এবার বর্ষার পানির তোড়ে সেটি ভেসে যাওয়ায় দুই পাড়ের হাজারো মানুষ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করত। খানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ কুমার মণ্ডল জানান, সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় নদীর ওপারের শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারছে না। একই সমস্যা পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের।
খানপুর বাজার কমিটির সভাপতি অশোক বিশ্বাস বলেন, “সপ্তাহে দু’দিন এখানে হাট বসে। শালিখার গ্রামগুলো থেকে কৃষকেরা নৌকা বা সাঁকো দিয়ে পণ্য নিয়ে আসতেন। সাঁকো না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষক জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
খানপুর দাখিল মাদরাসার সভাপতি এ এইচ এম আজিজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি দুই পাড়ের মানুষ জমিতে চাষাবাদ করতেও সমস্যায় পড়ছেন। আমরা দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।”
যশোর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।