এন এ মুরাদ, মুরাদনগর: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল-গাজীরহাট সড়কে দীর্ঘদিন ধরে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে থাকা প্রায় ৫০ হাজার মানুষের আশা এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। আমাদের সময় ডটকমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীর নজরে আসে। দ্রুত সাড়া দিয়ে তিনি সেতু নির্মাণের জন্য এস্টিমেট (ব্যয় প্রাক্কলন) প্রস্তুত করেছেন।
ইঞ্জিনিয়ার অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীকাইল - গাজীরহাট সড়কের সাহেদাগোপ এলাকা হতে বলীঘর পর্যন্ত ১৯৫০ মিটার সড়ক পাকাকরণ (মেইনটেনেন্স) ও ১০ মিটার একটি সেতু নির্মাণের জন্য ভিলেজ রুড রিহেবিলিটেশন প্রজেক্ট (ভি আর আর পি) প্রজেক্ট থেকে ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। দ্রুত সময়ের মধ্যে অফিসিয়াল কার্যক্রম
সম্পন্ন করে সড়কের কাজ শেষ করা হবে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, সেতু ও সড়কের কাজ নির্মাণ সম্পন্ন হলে শুধু যাতায়াত সহজ হবে না, মুরাদনগর উপজেলার উত্তরাঞ্চলের কৃষি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমেও গতি আসবে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সূত্রে জানা যায় , শ্রীকাইল থেকে গাজীরহাট ৬ কিলোমিটার সড়কের সবচেয়ে বড় দূর্ভোগ সাহেদাগোপের ভাঙা। এদিক দিয়ে বিলের পানি নেমে প্রায় ৪০ ফুট রাস্তা ভেঙে গেছে। প্রায় চার দশক পেরিয়ে গেলেও ভাঙা স্হানে কোনো সেতু করা হয়নি। সড়ক ভাঙার কারণে বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের যাতায়াত এবং জরুরি রোগী পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জামাল মেম্বার বলেন, “এলাকাবাসীর বহু বছরের স্বপ্ন পূরণের পথে। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আশা করি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
সাহেদাগোপ দারুল উলুম মাদ্রাসার সভাপতি ওমর ফারুক মুন্সি বলেন, “দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেতু নির্মাণের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই সেতুটি শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের এলাকার উন্নয়ন ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে।”
তরুণ সমাজ সেবক সুজন মুন্সি বলেন, “সেতু না থাকার কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেতুটি হলে এলাকার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।”
এবিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, সড়কে সেতু নেই এমন একটি “সংবাদ দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর আমরা দ্রুত এলাকা পরিদর্শন করি এবং ১০ মিটার একটি সেতুর জন্য প্রাথমিক এস্টিমেট তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।”