তপু সরকার হারুন, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের কালীবাড়ী চেঙ্গুরিয়া আনছার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় অকৃতকার্যের ভয় দেখানো হচ্ছে, এমনকি শিক্ষার্থীদের মারধরসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক—গণিতের খোরশেদ আলম, রফিকুল ইসলাম ও ইংরেজি বিভাগের শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।
২৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, প্রাইভেট পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করানোসহ নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য অভিযোগ করেন, সম্প্রতি দশম শ্রেণির নোভা নামের এক শিক্ষার্থীকে সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মারধর করেন এবং এতে তার আঙুল ভেঙে যায়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, “পড়াশোনায় দুর্বল হওয়ায় আমি নোভাকে একটি লাঠি দিয়ে একবার আঘাত করেছি। তবে এর বাইরে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ছড়ানো হচ্ছে।”
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন দাবি করেন, “কয়েকজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়ালেও শিক্ষার্থীদের জোর করে পড়ানো হয় না। মারধরের বিষয়টিও মিথ্যা।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আলম তালুকদার বলেন, “স্কুলের পাঠদানের বাইরে কোনো ধরনের প্রাইভেট পড়ানো সম্পূর্ণ অবৈধ। এ বিষয়ে সরকারি পরিপত্র রয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।”